মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ডে ভিডিও ছড়ানোর ‘মূলহোতা’ শাহ পরান ৫ দিনের রিমান্ডে
প্রকাশিতঃ 3:43 pm | July 09, 2025

কুমিল্লা প্রতিবেদক, কালের আলো:
কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের শিকার নারীর বিবস্ত্র ভিডিও ছড়ানোর ‘মূলহোতা’ শাহ পরানের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হক এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মুরাদনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত শাহপরান ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলীর আপন ছোট ভাই। এর আগে ৩ জুলাই বিকেলে বুড়িচং উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন র্যাব সদস্যরা মুরাদনগর থানায় শাহ পরানকে হস্তান্তর করেন। ৫ জুলাই সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন জানান, ধর্ষণের পর পরিকল্পিতভাবে নিপীড়ন ও বিবস্ত্রের ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ‘মূলহোতা’ শাহ পরানের ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে ৬ জুলাই কুমিল্লা আদালতে আবেদন করা হয়। বুধবার (৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরে ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। এসময় অভিযুক্ত ফজর আলীকে নামে এক যুবককে আটক করে পিটুনি দেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ২৭ জুন মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী।
এরপর রাজধানী থেকে ফজর আলীকে এবং পর্নোগ্রাফি মামলায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাহেরচর গ্রামের সুমন, রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফকে গ্রেফতার করা হয়।
পর্নোগ্রাফি মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে তিনদিনের রিমান্ড শেষে মোহাম্মদ আলী সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিকসহ চার আসামিকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে শনিবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের মুরাদনগর থানায় আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন পুলিশকে আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছিল। তবে আদালতে বিচারকের সামনে হাজির হওয়ার পর তারা স্বীকারোক্তি দেননি। পরে চারজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলী পুলিশি পাহারায় এখনো কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার সময় স্থানীয়রা তাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমীন জানান, ফজর আলীর শারীরিক অবস্থা এখনো উন্নতি হয়নি। তার অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দিতে অন্তত দুই মাস সময় লাগতে পারে।
কালের আলো/এএএন