রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার তৎপর

প্রকাশিতঃ 4:00 pm | May 28, 2025

কক্সবাজার প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাথে স্থানীয় জনগণের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার সবসময় তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরসংক্রান্ত ভুল তথ্য ও গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

বুধবার (২৮ মে) সকালে কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা বিএমজেড-এর পক্ষে জিআইজেড এবং জাতীয় এনজিও এফআইভিডিবি আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় ‘পিস মিডিয়েশন ও প্রমোশন’ বিষয়ক এই কর্মশালায় জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা অংশ নেন।

শামসুদ্দৌজা আরও বলেন, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজমান দ্বন্দ্ব নিরসনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে “মিডিয়েশন” বা মধ্যস্থতা পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি সঠিক তথ্য উপস্থাপন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

কর্মশালায় জানানো হয়, কক্সবাজারের হোস্ট কমিউনিটি এবং উখিয়া-টেকনাফে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দ্বন্দ্ব নিরসনে একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে জার্মান সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জিআইজেড এবং এফআইভিডিবি।

এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যকার শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারী বা ‘মিডিয়েটর’ ব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে ৩২০ জন প্রশিক্ষিত মধ্যস্থতাকারী নিয়োজিত আছেন, যার ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০ শতাংশ নারী। হোস্ট কমিউনিটি ও রোহিঙ্গা উভয় পক্ষ থেকে সমান হারে (৫০-৫০ ভাগে) এই মিডিয়েটররা কাজ করছেন।

কর্মশালায় ইউএনএইচসিআর, আইওএমসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা প্রকল্পের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করেন।

কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সাজ্জাতুন নেছা লিপি, সিনিয়র সহকারী সচিব ও ক্যাম্প ইনচার্জ খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান, সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ মোস্তাক আহমেদ, সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ শফিকুল বারী, জিআইজেড-এর হেড অব প্রোগ্রামস আলেকজান্ডার বেটজ, জাহিদ হাসান, মোবাশ্বেরুল ইসলাম, এফআইভিডিবি’র নির্বাহী পরিচালক বজলে মোস্তফা রাজি, হাসান আহমেদ চৌধুরী এবং মহিউদ্দিন সরদার প্রমুখ।

কালের আলো/এএএন