গাজার মানুষকে অনাহারে থাকতে দিতে পারি না: স্টারমার
প্রকাশিতঃ 12:12 pm | May 21, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে সৃষ্ট মানবিক সংকটে গাজার বাসিন্দাদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, আমরা গাজার মানুষকে অনাহারে থাকতে দিতে পারি না।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
এমনকি গাজায় মানবিক বিপর্যয় এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা সহ্য করা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা ১৯ মাস ধরে চালানো এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল গাজাতে অবরোধও জারি রেখেছে। এর ফলে গাজায় বহু মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, গাজায় নিরপরাধ শিশুদের ওপর চলমান বোমাবর্ষণ এবং মানবিক বিপর্যয় এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা “সহ্য করা যায় না”। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, “গাজার মানুষদের অনাহারে থাকতে দিতে পারি না।”
মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের ‘পুনর্গঠন চুক্তি’ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্টারমার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই। নিরীহ শিশুদের ওপর বারবার বোমাবর্ষণ—এই দুর্ভোগ একেবারেই অসহনীয়।”
তিনি আরও বলেন, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বন্ধে যুক্তরাজ্যের অবস্থান আগের মতোই কঠোর রয়েছে। একইসঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা অনেকগুণ বাড়ানোর দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ঘোষণায় বলা হয়, তারা কেবলমাত্র সীমিত পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেবে। এই প্রসঙ্গে স্টারমার স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “এই সহায়তার পরিমাণ সম্পূর্ণরূপে অপর্যাপ্ত—এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা গাজার মানুষদের অনাহারে থাকতে দিতে পারি না।”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য এমন এক সময় এলো যখন আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ধ্বংসাত্মক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৩ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পাশাপাশি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা বারবার গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি এবং চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে।
কালের আলো/এসএকে