খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন রাজনীতিতে যুগান্তকারী মুহুর্তের সূচনা

প্রকাশিতঃ 12:55 am | May 06, 2025

কালের আলো রিপোর্ট:

বদলে গেছে রাজধানীর গুলশানের ৮০ নম্বর সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’র পরিবেশ। গত ক’দিন ধরে চলছে গোছগাছ; বাড়ির সামনের সবুজ আঙিনা সাজানো হয়েছে ফুল গাছের টব দিয়ে। ভেতরেও কক্ষগুলোতে ঝাড়পোঁছ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজও শেষ হয়েছে। আর হবেই বা না কেন, প্রায় ৪ মাস যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে এবার দেশে ফিরছেন গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রী ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। উঠবেন এই ফিরোজাতেই। এরই মধ্যে দিয়ে ১১৭ দিনের প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (০৬ মে) সকাল ১০টায় দেশের মাটিতে পা রাখবেন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম জিয়া।

সোমবার (০৫ মে) স্থানীয় সময় ২টা ১০ মিনিটে যুক্তরাজ্যে জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমানের বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে তার মাকে বিমানবন্দরে নিয়ে গেছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার বসবাসের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে ‘ফিরোজা’।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, লন্ডনের গ্রিনিচ সময় সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া বিশেষ রাজকীয় বিমানে (আধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে) ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তার এ প্রত্যাবর্তন কেবলই দেশের একজন শীর্ষ নেতার ফেরা নয়। এটি দেশের রাজনীতির যুগসন্ধিক্ষণে এক যুগান্তকারী মুহূর্তের সূচনা বলেই মনে করছেন বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। এর আগে তাকে বিদায় জানাতে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করেন দলটির প্রবাসী নেতাকর্মীরা।

এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া। পরদিন বাংলাদেশ সময় বিকেল ২টা ৫৮ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে অবতরণ করে খালেদা জিয়াকে বহনকারী রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। এরপর তাকে সেখান থেকে সরাসরি ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ নিয়ে ভর্তি করা হয়। ১৭ দিনের ক্লিনিক-পর্ব শেষে তাকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

  • দেশের মাটিতে পা রাখবেন আজ সকাল ১০ টায়
  • ‘ফিরোজা’কেও প্রস্তুত করা হয়েছে নতুনরূপে
  • উৎফুল্ল নেতাকর্মীরা পথে পথে জানাবেন স্বাগত
  • শাহজালালে তিন স্তরের নিরাপত্তা, ডিএমপির ১০ নির্দেশনা

দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, ১১৭ দিনের দীর্ঘ অনুপস্থিতি শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার মধ্যে দিয়ে ফিরোজার অপেক্ষার প্রহরও শেষ হচ্ছে। খালেদা জিয়ার জন্য পথ চেয়ে থাকা ফিরোজার যেন আর তর সইছে না। নেতাকর্মীদের হৃদয়ে বাজছে প্রত্যাবর্তনের ঘণ্টা। প্রিয় নেত্রীর এ ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজনীতির আকাশে আবারও ভেসে বেড়াচ্ছে অজস্র আশা, সম্ভাবনা ও নতুন সূর্যোদয়ের স্বপ্ন, বলছেন দলের নেতাকর্মীরা।

ফিরোজার পরিবেশ বর্ণনা করে দলটির উচ্ছ্বসিত এক নেতা বলছিলেন, ধোয়া-মোছা আর সাজসজ্জায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ও এখন জ্বলজ্বল করছে। সন্ধ্যা নামার আগমুহূর্তে বাসভবনের ভেতরে-বাইরে জ্বলে উঠছে অসংখ্য বাতি। এ যেন দলের নেতাকর্মীদের কাছে প্রিয় নেত্রীর প্রিয় মাতৃভূমিতে ফেরারই আশার আলো।

দলীয় প্রধানকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপির পক্ষ থেকে নানামাত্রিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষত, খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরার খবরে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। জুবাইদার এই প্রত্যাবর্তনে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্যরকম চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফেরার পথে খালেদা জিয়ার সঙ্গী হচ্ছেন। যদিও বিগত বছরগুলোতে শামিলা রহমান বিভিন্ন সময়ই দেশে অবস্থান করেছেন। সেদিক থেকে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশত্যাগের পর এবারই প্রথম দেশে ফিরতে পারছেন জুবাইদা।

যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নাসির আহমেদ শাহীন জানান, লন্ডন সময় সোমবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হিথ্রো বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। খালেদা জিয়ার সঙ্গে মোট ১৩ জন দেশে যাচ্ছেন। নির্ধারিত সময়েই সব কিছু সম্পন্ন হয়েছে।

উৎফুল্ল নেতাকর্মীরা পথে পথে জানাবেন স্বাগত
দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত পথে পথে তাকে স্বাগত জানাবেন নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে বড় প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে দলটি। বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের কারা কোথায় অবস্থান নেবেন, তারা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না-সে বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৪ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া। নির্দেশনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান হোটেল পর্যন্ত অবস্থান করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। ছাত্রদল অবস্থান করবে লা মেরিডিয়ান হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল থাকবে খিলক্ষেত থেকে হোটেল র‌্যাডিসন পর্যন্ত। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করবে হোটেল র‌্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত। স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান করবে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। কৃষক দল থাকবে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল অবস্থান নেবে কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত। ওলামা দল, তাঁতি দল, জাসাস ও মৎস্যজীবী দল অবস্থান করবে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত। মুক্তিযোদ্ধা দলসহ সব পেশাজীবী সংগঠন অবস্থান করবে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত। মহিলা দল অবস্থান করবে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ পর্যন্ত থাকবেন।’

শাহজালালে তিন স্তরের নিরাপত্তা, ডিএমপির ১০ নির্দেশনা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তিন স্তরের নিরাপত্তা সুরক্ষায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হবেন। তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ইংল্যান্ডের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তাকে বহনকারী কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

অবতরণের পরপরই খালেদা জিয়ার নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে নিয়ে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার গেট দিয়ে বের হবেন। এদিন তাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বিমানবন্দর থেকে গুলশানে তার বাসা পর্যন্ত উপস্থিত থাকবেন। চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ভিড় সামলানো ও তার নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া জানান, হ্যাঙ্গার গেট সংলগ্ন এলাকায় এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স, ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার অ্যাক্টে নিয়োজিত বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তিনি আরও জানান, নিরাপত্তায় কোনও ঘাটতি হবে না। তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অবতরণের পর শতভাগ নিরাপত্তায় তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করতে পারবেন।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিমানবন্দরকেন্দ্রিক একাধিক বাহিনীর সঙ্গে ডিএমপির পুলিশও মোতায়েন থাকবে। বিশেষ করে বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত রাস্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরাও কঠোরভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।’

এদিকে, দলীয় নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতির আশঙ্কায় ঢাকা মহানগরীতে জনসমাগম ও যান চলাচলে প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে, সুষ্ঠু ট্রাফিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য নাগরিকদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ডিএমপি জানায়, মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে সড়কে যানজট সৃষ্টি হতে পারে। এ উপলক্ষে সাধারণের যান চলাচলে নিম্ন নির্দেশনা মানার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ডিএমপির ১০ নির্দেশনায় বলা হয়েছে- মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জনসাধারণকে গুলশান-বনানী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান না করে ফুটপাতে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হলো। সংশ্লিষ্ট দলের নেতৃবৃন্দকে আগত জনসাধারণকে রাস্তা থেকে সরিয়ে ফুটপাতে অবস্থান করানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গুলশান-বনানী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়ক যথাসম্ভব পরিহার করে বিকল্প রাস্তা হিসেবে নিম্নোক্ত রাস্তা ব্যবহারের জন্য অনুরোধ- ক. আব্দুল্লাপুর কামারপাড়া-ধউর ব্রিজ-পঞ্চবটী-মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে গাবতলী হয়ে চলাচল করা; খ. ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা; গ. উত্তরা ও মিরপুরে বসবাসকারী নাগরিকদের বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প হিসেবে হাউজ বিল্ডিং-জমজম টাওয়ার-১২ নম্বর সেক্টর খালপাড়-মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর স্টেশন-উত্তরা সেন্টার স্টেশন-মিরপুর ডিওএইচএস হয়ে চলাচল এবং উত্তরা সেন্টার স্টেশন থেকে ১৮ নম্বর সেক্টর-পঞ্চবটী হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করতে পারেন; ঘ. গুলশান, বাড্ডা এবং প্রগতি সরণি এলাকার যাত্রী সাধারণ কাকলী, গুলশান-২, কামাল আতাতুর্ক সড়কের পরিবর্তে গুলশান-১/পুলিশ প্লাজা-আমতলী-মহাখালী হয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন র‌্যাম্প ব্যবহার করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে এয়ারপোর্ট/উত্তরা যেতে পারেন; ঙ. মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইলগামী যানবাহনগুলো মিরপুর-গাবতলী রোড হয়ে চলাচল করতে পারে; চ. বিমানবন্দর/৩০০ ফুট রাস্তা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলো বনানী/কাকলী র‌্যাম্পের পরিবর্তে মহাখালী র‌্যাম্প/এফডিসি র‌্যাম্প ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া ডিএমপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ ঢাকা সেনানিবাসের রাস্তা (জিয়া কলোনি/জাহাঙ্গীর গেট/সৈনিক ক্লাব/স্টাফ রোড) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শুধু হালকা যানবাহন গমনাগমনের অনুমতি প্রদান করেছে। সুতরাং সেনানিবাসের রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন।

কালের আলো/আরআই/এমকে