মোহনগঞ্জের মাঘান উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটিতে সভাপতি পদে দুই আওয়ামীলীগ নেতার নামের সুপারিশ

প্রকাশিতঃ 5:38 pm | April 15, 2025

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এডহক কমিটির ‘সভাপতি’ পদে যোগ্য সিনিয়র বিএনপি নেতাকে বাদ দিয়ে দুইজন স্থানীয় সাবেক আওয়ামীলীগ নেতার নাম সুপারিশের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক ও একটি স্বার্থন্বেষী মহলের যোগসাজশে এ দুই আওয়ামীলীগ নেতার নাম সুপারিশ করা হয়েছে।

মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহাম্মদ সাংবাদিকদের জানান, গত জানুয়ারী মাসে বিদ্যালয়েল কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্যে অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিভাবকগণ, এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত নেতৃবৃন্দ মিলে সর্বসম্মতিক্রমে ‘সভাপতি’ পদে আমার নাম এককভাবে প্রস্তাব করেন। কিন্তু আওয়ামীলীগপন্থি প্রধান শিক্ষক পরবর্তীতে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার নাম তিন (৩) নম্বরে প্রস্তাব করে এবং আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাহারিয়া করিম এক নম্বর ও মোঃ দিদারুল ইসলাম খান পাঠানের নাম দুই নম্বরে প্রস্তাব করেন। মোঃ শাহরিয়া করিম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মোহনগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র এডভোকেট লতিফুর রহমান রতনের জুনিয়র ও সহযোগী আইনজীবি।

বিগত আওয়ামী দুঃশাসনের সময় বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মী যারা বিভিন্ন সময়ে জেলে গিয়েছেন তাদেরকে তিনি কখনও কোন আইনী সহায়তা দেননি। আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানেরও ঘনিষ্ঠ সহচর হিসাবেও সে পরিচিত। বর্তমানে কিছু বিএনপি নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে আছে। অন্যদিকে দিদারুল ইসলাম খান পাঠান বাবু ও তার পিতা নজরুল ইসলাম খান পাঠান খোকন চিহ্নিত আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক পলাতক এমপি সাজ্জাদুল হাসানের আস্থাভাজন। তাদের আওয়ামীলীগের বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রমের ছবি এখনও সোস্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করা যায়। সে ছাত্র জীবনে আনন্দমোহন কলেজে ছাত্রলীগ সভাপতি রকিব হাসানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিল। এই চিহ্নিত দুই আওয়ামীলীগ নেতার নাম ১ ও ২ নম্বরে রেখে সিনিয়র বিএনপি নেতা উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহাম্মদ-এর নাম ৩ নম্বরে দিয়ে মাঘান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মির্জা আসাদ জেলা প্রশাসক বরাবর গোপনে চিঠি প্রেরণ করেন।

গত ৭ই এপ্রিল-২০২৫ইং জেলা প্রশাসন এই তিনজনের নাম ‘সভাপতি’ পদে মনোনয়রে জন্য সুপারিশ করেন। এটি প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

৪নং মাঘান ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আমিরুল ইসলাম ফরবুদ বলেন যে, মাঘান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ত্যাগী বিএনপি নেতাকে বাদ দিয়ে দুই জন আওয়ামী সমর্থকের নাম কমিটিতে প্রস্তাব করায় আমরা বিস্মিত হয়েছি।

মাঘান ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন যে, আমরা আওয়ামী পরিবারের কোন সদস্য বা নেতাকে এডহক কমিটির সভাপতি হিসাবে মেনে নিব না। এছাড়াও স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত নেতৃবৃন্দ এবং প্রতিষ্ঠানের ছাত্র অভিভাবকগণ এডহক কমিটির ‘সভাপতি’ পদে নাম পুনঃবিবেচনার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেন।

কালের আলো/এমএএইচএন