‘ঢাকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের বিশেষ টিম’

প্রকাশিতঃ 6:44 pm | March 23, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা শহরের প্রতিটি ইন্টারসেকশন রুটে পুলিশের বিশেষ টিম নামানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

তিনি বলেন, আগামীকাল রোববার থেকে এক সপ্তাহ ঢাকা শহরে যতগুলো ইন্টারেকশন আছে, সবগুলোতে স্পেশাল পুলিশ দাঁড় করিয়ে দেয়া হবে।

শনিবার(২৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ডেমরার মাতুয়াইল এলাকায় শামছুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কমিশনার বলেন, যদি কোনো পরিবহন কোম্পানির কোনো গাড়ি প্রতিযোগিতা করে, রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করে, কৃত্রিম যানজট তৈরি করে, স্টপ লাইন বরাবর গাড়ি দাঁড় করায়, ফিটনেসবিহীন ও লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশের এই বিশেষ টিম। সিটি করপোরেশন, বিআরটিএ, ডিটিসিএ’র সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজগুলো করব।

এ সময় আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় জানিয়ে এ কাজে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন ডিএমপি কমিশনার।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা শুধু আইন প্রয়োগ করি। কিন্তু রাস্তা তৈরি করে সিটি করপোরেশন, গাড়ির ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন দেয় বিআরটিএ। তাই তাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই আমাদের কাজগুলো করতে হবে। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কাম্য।

মাদক ব্যবসায়ীর স্থান ঢাকা শহরে হবে না

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রু। এদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করুন। ঢাকা শহরে কোনো মাদক ব্যবসায়ীর স্থান হবে না। জঙ্গিবাদের ন্যায় মাদকের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।

আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন। মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, পুলিশ আপনার পাশে আছে বলেও মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, রাজধানীতে যেই মাদকের ব্যবসা করতে দুঃসাহস দেখাবে, তার পরিচয় যাই হোক তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। কোনো পুলিশ সদস্য মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদকের অর্থদাতা, আশ্রয়দাতা, সহযোগী গ্রেফতারের পর কোর্ট থেকে জামিনে যারা ছাড়িয়ে আনে তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না। কঠোর শাস্তি পেতে হবে।

সন্তানের লেখাপড়া ও ইন্টারনেটের ব্রাউজ নজরদারিতে রাখা

মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে তিনটি বিষয় মনে রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান কমিশনার। তিনি বলেন, আপনার সন্তান কি করে, কার সাথে মেলামেশা করে, ঘরে ইন্টারনেটের কোনো সাইটগুলো ব্রাউজ করে তা নিয়মিত দেখার দায়িত্ব অভিভাবকদের, শিক্ষকদের দায়িত্ব শিক্ষার্থীরা টিফিন পিরিয়ডে ও অন্যান্য সময় কি করছে তার দিকে নজরদারী রাখা ও সমাজের জনপ্রতিনিধিগণ মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দমন করতে সহযোগিতা করুন।

এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কৃষ্ণ পদ রায়, সামছুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মোল্লা ও প্রিন্সিপ্যাল ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমএইচএ