দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও পাইলট আটকের দাবি পাকিস্তানের
প্রকাশিতঃ 2:33 pm | February 27, 2019

ডেস্ক রিপোর্ট, কালের আলো:
পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা তাদের আকাশসীমায় দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এ ছাড়া এক পাইলটকে আটক করেছে। বুধবার সকালে পাক-ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (লাইন অব কন্ট্রোল) এ ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি ও আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
অবশ্য ভারতও বলছে, তাদের দুটি যুদ্ধবিমান বিধস্ত হয়েছে। তবে দেশটির গণমাধ্যম এর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি। কোনো কোনো গণমাধ্যম যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমান দুটি ভূপাতিত হয়ে থাকতে পারে বলে বলা হয়েছে। এতে দুই পাইলটের মৃত্যু হয়েছে বলেও ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে।
পাকিস্তানের বিমানবাহিনী বলছে, আগের দিন মঙ্গলবার ভারতীয় বিমানের সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাকিস্তানে ঢুকে পড়ার পাল্টা জবাব হিসেবে বিমান দুটি ভূপাতিত করা হয়েছে।
দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন বলছে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই আক্রমণের মূল উদ্দেশ্যে হলো আমাদের অধিকার, ইচ্ছা এবং নিজেদের প্রতিরক্ষার প্রদর্শন। আমরা উত্তেজনা বাড়াতে চাই না, কিন্তু কেউ বাধ্য করলে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।’
দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মুখপাত্র জেনারেল আসিফ গফুর ভারতীয় বিমান ভূপাতিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘনের জবাবে পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএএফ) এ আক্রমণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘পিএএফ পাকিস্তান সীমান্তে দুটি ভারতীয় বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এর একটি আজাদ কাশ্মীরে (পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত) পড়েছে এবং অপরটি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে (আইওকে) পড়েছে। এক ভারতীয় পাইলটকে সেনারা আটক করেছে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলায় ৪৯ সেনা নিহতের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল নয়াদিল্লি। তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ভোরে পাকিস্তানের বালাকোট, চাটোকি ও মুজাফফরাবাদে কয়েটি হামলা চালায় ভারত। যদিও হতাহতের বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।
ওই হামলার পরই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, তারা সময়মতো যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তারপরই আজ বুধবার দুটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিতের দাবি করলো পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, পুলওয়ামার ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মাদ। কিন্তু সংগঠনটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হলেও নয়াদিল্লির দাবি, হামলার পেছনে ইসলামাবাদের মদদ রয়েছে। কিন্তু ইসলামবাদ এ অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে ভারতের দাবির পক্ষে প্রমাণ দাবি করে। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে সে ধরনের কোনো প্রমাণ হাজিরের খবর পাওয়া যায়নি।
কালের আলো/এমএইচএ