মেয়র আতিকের কর্মমুখর চার বছর, ব্যর্থতার চেয়ে সাফল্যের পাল্লা ভারী

প্রকাশিতঃ 9:29 pm | May 13, 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) টানা দু’বারের নির্বাচিত মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম। প্রথমবার উপ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির শক্ত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে মেয়র হিসেবে নিজের মসনদ ধরে রাখেন। একই বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি শপথ নিলেও দায়িত্ব বুঝে পান ১৪ মে। দেখতে দেখতে কেটে গেছে চারটি বছর। সোমবার (১৩ মে) দায়িত্ব গ্রহণের চার বছর পূর্তিতে গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়েছিলেন জনবান্ধব এ নগর সেবক। নিজে কথা বলেছেন, নানান প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন।

একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে শুরু করেছিলেন তাঁর পথচলা। দায়িত্বের পুরোটা সময় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে সময় না কাটিয়ে ওয়ার্ড টু ওয়ার্ড ঘুরেছেন। নগরীর সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। সমাধানের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বছরের প্রতিটি দিনে কর্মমুখর আতিকুল ইসলাম গঠনমূলক সমালোচনায় বিরক্ত না হয়ে সেটি গ্রহণ করেছেন হাসিমুখে। আগামী এক বছর তিনি ডিএনসিসিতে নতুনভাবে যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ভোটারদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তিনি। নিজের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন এড়িয়ে যাননি। উত্তরে মুন্সীয়ানা দেখিয়ে মেয়র আতিক বলেন, ‘পরীক্ষা যে দেয় সে কিন্তু রেজাল্ট দেয় না। আমরা পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। সফল, না ব্যর্থ সেটা আমার বলা ঠিক হবে না। এ দায়িত্ব আমি জনগণের ওপর, সাংবাদিকদের ওপর ছেড়ে দিলাম।’ বিশ্লেষকরাও বলছেন, মেয়র হিসেবে আতিকুল ইসলামের ব্যর্থতার চেয়ে সাফল্যের পাল্লাই ভারী।

ঢাকা উত্তর সিটির নন্দিত মেয়র সোমবার (১৩ মে) দুপুরে গুলশান নগরভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের ও কাউন্সিলরদের চার বছরপূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে নগরবাসীর প্রতি আমরা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম। আমার নির্বাচনী ইশতেহার ছিল সবাইকে সাথে নিয়ে একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলার। নগরবাসী আমাকে তাদের সেবক নির্বাচন করেছেন। আমি পুরোটা সময় চেষ্টা করেছি আমার প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের। বিগত চার বছরে যতগুলো সফলতা রয়েছে তার সব কৃতিত্ব নগরবাসীর। তাই আজ ভালো-মন্দ কাজের বিচারভার প্রিয় নগরবাসীর হাতে তুলে দিলাম।’

গত চার বছরে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের আদ্যোপান্ত তুলে ধরে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দুই বছরে দুই লাখ গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। গত বর্ষায় (জুন-অক্টোবর) ফুটপাত, মিডিয়া, পার্কসহ, অন্যান্য খোলা জায়গায় প্রায় ৯০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। অনেকেই হয়তো দেখে থাকবেন গাছগুলো বড় হচ্ছে। কিছু গাছ নষ্ট হয়েছে। এই বর্ষায় আমরা সেটা রিপ্লেস করে দেবো। পাশাপাশি ডেঙ্গু সচেতনতায় কাউন্সিলদের নেতৃত্বে নাগরিক কমিটি গঠন (প্রতি কাউন্সিলরকে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ) এলাকাভিত্তিক জনসংযোগ ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিশেষ অভিযান এবং চার কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। কিউলেক্স মশা নিধনে ডিএনসিসি এলাকার খাল ডোবা ও জলাধারের কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মশক নিধনের অন্যতম একটি ন্যাচার বেজড সলিউশন বিটিআই। আমরা গতবার ডেঙ্গুর মৌসুমে বিটিআই এনেছিলাম। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিল। আমরা তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার ডিএনসিসি নিজেই বিটিআই আমদানি করবে। মন্ত্রী পরিষদের সভায় ইতোমধ্যে এটি পাস হয়েছে। বর্ষাকালে যত্রতত্র পরে থাকা বিভিন্ন ময়লা যেমন টায়ার, দইয়ের বাটি, আইসক্রিমের কাপ, কোমড, পলিথিন ইত্যাদি পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি নগদ টাকায় কিনে নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে ডেঙ্গু মশা বংশ বিস্তার করতে না পারে।’

মশক নিধনে বাফেলো টার্বাইন ব্যবহার
দুর্গম এলাকায় কার্যকরভাবে লার্ভিসাইট প্রয়োগের জন্য বাফেলো টার্বাইন ব্যবহার করা হয় বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গা আছে যেখানে লার্ভাসাইডিং এজন্য মশককর্মীরা যেতে পারেন না, যেমন বড় ডোবা, জলাশয়। সেসব জায়গায় বাফেলো টার্বাইন ব্যবহার করা হবে। এছাড়া গাবতলীতে ৪০ একর মহাখালী টার্মিনালে ব্যাপক উচ্ছ্বেদ অভিযান রাস্তা থেকে গাড়িগুলো ভেতরে জায়গা পাবে। বসিলার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন অবৈধ ফার্ম উচ্ছ্বেদ করে দুই একর জমি। যেসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো যাতে দেখতে দৃষ্টিকটু না মনে হয় সেজন্য মহাখালী ফ্লাইওভারের পুরোটাই দৃষ্টিনন্দন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আমরা এর আগে মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারগুলো সাজিয়ে তুলেছি। পর্যায়ক্রমে সবগুলো অবকাঠামো সাজানো হবে। ‘

নিজের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ কাওরান বাজারকে স্থানান্তর করা। এটি আমরা হাতে নিয়েছি, আশা করি সফলতার সঙ্গে করতে পারবো।’

ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন
আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহন করে আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে ব্যবস্থাপনা করছে। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন হবে। একইসঙ্গে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রেডে যুক্ত হবে। গত সপ্তাহ থেকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মূল প্লান্ট নির্মাণের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে।

ডিএনসিসির ২৪টি পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়ন
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডিএনসিসির ২৪টি পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করে এ বছর সবগুলো পার্ক ও খেলার মাঠ সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। মিরপুরের প্যারিস মাঠটি উদ্ধার করে ২২শ ট্রাফ বালু ফেলে ওই এলাকার শিশু কিশোরদের জন্য খেলার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন শতশত ছেলে মেয়ে খেলাধুলা করে। পাশাপাশি লাউতলা খালের পাড়ে অবৈধ মার্কেট ও ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছ্বেদ করে পার্ক নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জুন মাসে ৪৬ হাজার ৮শ ৯৯টি সড়ক বাতি লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ডিএনসিসি কাউন্সিলরদের কাছ থেকে তালিকা নিয়ে দেখা যায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাতি নষ্ট ছিল। পরবর্তীতে আমরা সেই সাড়ে তিন হাজার বাতি প্রতিস্থাপন করে দিয়েছি। এছাড়া ২ হাজার বাতি নিয়মিত মেইনটেনেন্স রাখতে হচ্ছে। কোথাও বাতি নষ্ট হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটা প্রতিস্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে। বাতিগুলো যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২০ হাইড্রলিক গাড়িও আমদানি করা হয়েছে।

বনানীতে চালু হচ্ছে ওয়ান ওয়ে রোড
আতিকুল ইসলাম বলেন, ওয়ান ওয়ে রোড সার্ভে শেষে সামনের মাসেই বনানীতে ওয়ান ওয়ে রোড চালু হতে যাচ্ছে। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস, গ্লোবাল রোড সেফটি এবং ওয়ার্ল্ড রিসোর্চেস এ কাজটির জন্য সহযোগিতা করছে। এ অঞ্চলে যানজট নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া অনস্ট্রিট স্মার্ট পার্কিং রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রাথমিকভাবে গুলশানের আটটি রাস্তার ১৯৮টি অনস্ট্রিট পার্কিং চালু করা হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে এই সেবা নেওয়া যায়। অ্যাপটি ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার যানবাহন পার্ক করা হয়েছে।

সাংবাদিক-সাহিত্যিকদের নামেও হবে সড়ক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ঘোষণা দেন মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের নামেও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের নামকরণ করা হবে।
তিনি বলেন, এতদিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের নাম শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করা হতো। কিন্তু আমাদের অনেক বড় বড় সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিক রয়েছেন। যারা অনেক গুণী ব্যক্তি। তাদের নামে সড়কের নামকরণ করলে, তারা যেমন সম্মানিত হবেন, তেমনি আমরাও গর্ব বোধ করবো। তাই এখন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের নামেও সড়কের নামকরণ করা হবে।

কলাগাছ থেরাপি নিয়ে আক্ষেপ
খাল দূষণ রোধে ‘কলাগাছ থেরাপি’র কথা উল্লেখ করেন মেয়র। পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পাইপ সরাসরি খালে ঢুকিয়ে দেয়া সব বাড়িতে কলাগাছ থেরাপি দিতে না পারায় আক্ষেপের কথাও জানান। তিনি বলেন, বাড়ির বর্জ্য যেসব পাইপের মধ্য দিয়ে খালে ফেলা হয়, সেই প্রতিটি পাইপে কলাগাছ ঢুকাতে পারলে মনে শান্তি পেতাম। আমার ব্যর্থতা এখানে। কীভাবে বারিধারা, গুলশানের লোকরা খালের মধ্যে কালো বর্জ্য দিয়ে দিচ্ছে। এটি কষ্ট লাগে।’

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গুলশানের খালে পানি নিষ্কাশন নালা ও পয়ঃবর্জ্যের পাইপ লাইন বন্ধে ২০২৩ সালে বেশ কিছু বাড়িতে অভিযান চালান তিনি। যেসব বাড়ি থেকে পয়ঃবর্জ্যের পাইপ খালে নিয়ে ঢোকানো হয়েছে, সেসব পাইপের বাইরের মুখ কলাগাছ দিয়ে আটকে দেয়া হয়। ওই ‘কলাগাছ থেরাপি’ হিসেবে পরিচিতি পায় মেয়র আতিকের এ কার্যক্রম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও হন প্রশংসিত।

গুলশানের মত বারিধারা, বনানী ও নিকেতন আবাসিক এলাকাতেও একইভাবে পয়ঃবর্জ্যের লাইন বিছিন্ন করার চেষ্টা চালান ডিএনসিসি মেয়র। এতে ‘ফল পাচ্ছেন’ উল্লেখ করে তখন মেয়র বলেছিলেন, যে কয়েকটা বাড়ির সুয়ারেজ লাইনে কলাগাছ ঢুকিয়েছি, তারা এখন পাগল হয়ে গেছে।’

ডিএনসিসি ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল বাস্তবায়নে সক্ষম
আতিকুল ইসলাম বলেন, অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সেবার পরিসর বাড়িয়েছি। হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। গুলশান-১ ও তালতলা মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেন ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্মার্ট পার্কিং চালু করেছি। গুলশান-২ এ এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ভিত্তিক ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল চালুর মাধ্যমে প্রমাণ করেছি ডিএনসিসি ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল বাস্তবায়নে সক্ষম। আরও ছয়টি স্থানে এআই ভিত্তিক ট্রাফিক সিগন্যাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে অনলাইন সেবার পরিসর বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছি।
সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে ইচ্ছা ছিল কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন করতে পারিনি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘একটি স্মার্ট জবাইখানা করার ইচ্ছা আছে। আমি দ্রুতই এটি বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেব। এছাড়াও গাবতলীতে বৃক্ষ ও প্রাণী হাসপাতাল নির্মাণ করার ইচ্ছা রয়েছে।

আগামী এক বছরের অগ্রাধিকার তালিকা
আগামী এক বছরের অগ্রাধিকার তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন। সেই কথা জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী এক বছর ডিএনসিসিতে নতুনভাবে যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি খালগুলো দখলমুক্ত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছি এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলবে।

জনাকীর্ণ এ সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমএএএমকে