বিএনএসিডব্লিউসি’র ২১ তম সভা, দেশের রাসায়নিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার
প্রকাশিতঃ 6:29 pm | September 26, 2023

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :
শিল্পখাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে অবাধ ব্যবহার বাড়ছে রাসায়নিক কেমিক্যালের। সহজলভ্যতা থাকায় তৈরি হচ্ছে নানা কারখানা। অনেকক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় ঘটছে মারাত্মক সব দুর্ঘটনাও। ধ্বংস হচ্ছে বিপুল সম্পদ। ঘটছে বহু মানুষের প্রাণহানিও।
কঠিন এমন বাস্তবতায় সশস্ত্র বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশসহ দুর্ঘটনা মোকাবেলায় সাড়াদানকারী সংস্থাসমূহের করণীয় এবং রাসায়নিক নিরাপত্তা সুসংহত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (বিএনএসিডব্লিউসি) চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। পাশাপাশি বাংলাদেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্যসহ দেশের সার্বিক রাসায়নিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সবাই একযোগে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকারও ব্যক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসস্থ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাল্টিপারপাস হলে বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি) এর ২১ তম সাধারণ সভায় বিএনএসিডব্লিউসির ২০তম সাধারণ সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে করণীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এই সাধারণ সভায় বিএনএসিডব্লিউসি’র চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সভাপতিত্ব করেন। সভায় তিনি সুচিন্তিত ও সময়োপযোগী বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।
২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। পদাধিকারবলেই বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (বিএনএসিডব্লিউসি) চেয়ারম্যানও তিনি।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, এবারের ২১ তম সাধারণ সভায় বিএনএসিডব্লিউসি’র সদস্যসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং সশস্ত্র বাহিনী থেকে মোট ৪৩ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। সভায় দেশের সার্বিক রাসায়নিক নিরাপত্তা সুসংহতকরণ ও রাসায়নিক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে কেমিক্যাল ওয়ারফেয়ার এজেন্ট সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সাড়াদানের জন্য বাহিনীসমূহের গঠিত কেমিক্যাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (সিডিআরটি) এর কর্মপরিধি চূড়ান্তকরণ করা হয়েছে ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ চলমান রয়েছে।
সূত্র জানায়, দেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য সংক্রান্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বিএনএসিডব্লিউসির সঙ্গে নিবন্ধনের জন্য তৈরিকৃত ওয়েব পোর্টালটি চালু করা হয়েছে বলে বিএনএসিডব্লিউসি’র নির্বাহী সেল সভাকে অবহিত করে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা যুগোপযোগীকরণে গৃহীত পদক্ষেপসমূহও সভায় উপস্থাপন করা হয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, বিএনএসিডব্লিউসি’র বিশেষজ্ঞ পরিদর্শন দল বেনাপোল স্থল বন্দর পরিদর্শনের ফলাফল ও রাসায়নিক নিরাপত্তার স্বার্থে বন্দর কর্তৃপক্ষের করণীয় বিষয়ে সভাকে অবহিত করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের মতো অন্যান্য বন্দরে রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সুসংহত করার ব্যাপারে বিএনএসিডব্লিউসি’র চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বিশেষ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। একই সঙ্গে তিনি রাসায়নিক দুর্যোগ বা দুর্ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসার জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলো প্রস্তুতকরণ এবং চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
কালের আলো/এমএএএমকে