‘মশার কামড় ক্ষতিকর’ নামে স্কুলশিক্ষার্থীদের জন্য ডিএনসিসি’র বই, শেষ করলে ‘সাব্বাস’ সার্টিফিকেট!
প্রকাশিতঃ 2:21 pm | July 24, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ঢাকার দুই সিটিতে প্রতিদিন কয়েক শ মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ডেঙ্গুতে মৃত্যুও হচ্ছে প্রতিদিন। এরই মধ্যে ‘মশার কামড় ক্ষতিকর’ নামে স্কুলশিক্ষার্থীদের জন্য একটি বই ছাপিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ বই পড়া শেষ করলে ‘সাব্বাস’ সার্টিফিকেট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে ঢাকা উত্তর সিটির নগরভবনের ছয়তলায় এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিকভাবে বইটির এক লাখ কপি ছাপানো হয়েছে। দ্রুত এ বইগুলো আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলদের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে বইটির আরও এক লাখ কপি ছাপাবে ডিএনসিসি।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত দেশে ৩২ হাজার ৯৭৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই সময়ে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭৬ জন। দেশে ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি করে দেখা দেয়। এর আগে কোনো বছরে এ সময়ে এত আক্রান্ত বা মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
আজকের অনুষ্ঠানেডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বইটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, চলতি বছরের শুরুতে ডিএনসিসির একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি ডেড কান্ট্রিতে যায়। সেখানে মশার কামড় নিয়ে স্কুলগুলোয় শিক্ষার্থীদের একটি বই পড়ানো হয়। এতে তারা মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে সফলতা পেয়েছে। ডিএনসিসি বইটি সংগ্রহ করে এটা বাংলায় অনুবাদ করার উদ্যোগ নেয়।
সেলিম রেজা বলেন, ‘বইগুলো স্কুলে বিতরণ করা হবে। আমাদের ছোট বাচ্চারা যাতে মশার কামড়ের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং নিজেরা সচেতন হয়ে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। মশার বিরুদ্ধে আমরা সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করতে চাই।’
অনুষ্ঠানে উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মশার কামড়ে যেসব রোগ হয়, সেগুলো সম্পর্কে আমরা আমাদের ছোট মণিদের জানাতে চাই। বইটির মাধ্যমে তারা যখন জানবে, বাড়ি গিয়ে তারা নিজেদের মা-বাবাকে বলবে, সচেতন করবে। বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠায় থাকা ছবিগুলোয় রং করে শিক্ষার্থীরা মশার কামড়ের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে শিখবে। যেমন এতে বলা আছে, কিছু মশা কামড়ালে চুলকানি হয়, কোনো কোনো মশার কামড়ে আবার অসুস্থ হয়। তাই সুস্থ থাকতে হলে মশার কামড় খাওয়া যাবে না। বাইটের সঙ্গে ফাইট করতে হবে। বইটির শেষ করলে “সাব্বাস” সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।’
এ ছাড়া আজকের অনুষ্ঠানে মশা নিয়ে গবেষণা করার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার রাশেদা আক্তার এবং ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ কে এম শফিকুর রহমান এ চুক্তিকে স্বাক্ষর করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশারসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/ডিএস/এমএম