মাঠে প্রকৌশলী মাজেদ বাবু, ফুরফুরা খালেকুজ্জামান

প্রকাশিতঃ 1:23 am | December 14, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
দীর্ঘদিন যাবত মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। সংগঠনকে গুছিয়েছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের আপদে-বিপদে পাশে থেকেছেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। দল নিরাশ করেনি। পেয়েছিলেন মনোনয়ন। কিন্তু জোটের বৃহৎ স্বার্থে ঐক্যফ্রন্টকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ‘ত্যাগী’ হতে হয়েছে তাকেও। এই নিয়ে অভিমান ছিলো দলীয় নেতা-কর্মীদের।

কিন্তু দলের স্বার্থকেই বরাবরের মতো এবারো প্রাধান্য দিয়েছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও বিশিষ্ট সফটওয়্যার প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু। সব মান-অভিমান ভুলে ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পূর্ণোদ্যমে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।

নিজের উদ্যোগে ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণায় লুৎফুল্লাহেল মাজেদ রীতিমতো তাক লাগিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এইচ.এম.খালেকুজ্জামানকে বিশাল সংবর্ধনা দিয়ে। তৈরি করেছেন ভোটের আমেজ। দলীয় অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশাল এই সংবর্ধনা পেয়ে ফুরফুরা মেজাজেই রয়েছেন এ.এইচ.এম.খালেকুজ্জামান।

জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। আওয়ামী লীগের পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। তবে ৩০ ডিসেম্বর আসনটিতে মূলত লাঙ্গলের সঙ্গে ধানের শীষের ভোটযুদ্ধের দামামার ইঙ্গিত মিলছে।

উপজেলা বিএনপি সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন গণফোরাম নেতা এএইচএম খালেকুজ্জামান।

ওইদিন বিকেলে ময়মনসিংহ থেকে উপজেলা সদরে তিনি পৌঁছার পর উপজেলা বিএনপির সভাপতি লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবুর নেতৃত্বে দলটির অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
স্মরণকালের দীর্ঘ এই সংবর্ধনায় উপজেলা সদরের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা মিছিলে মিছিলে মেতে ওঠে ধানের শীষ স্লোগানে। মূলত এই সংবর্ধনার মাধ্যমে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা পুরোমাত্রায় জমে ওঠেছে।

একই সূত্র জানায়, উপজেলা বিএনপির সভাপতি লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু প্রার্থী খালেকুজ্জামানকে নিয়ে উপজেলা সদরে আসলে তাদের বহনকারী যানবাহনকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। এই সময় ধানের শীষের স্লোগানে গোটা পৌর সদর এলাকা মুখর করে তুলেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

পরে গোহাটায় এক জনসভায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এ.এইচ.এম.খালেকুজ্জামান বলেন, ‘আপনারা আমার জন্যে দোয়া করবেন আমি নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপনাদের দেয়া আমানত খেয়ানত করবো না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, ‘ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো ইনশাআল্লাহ। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ কেউ নির্বাচনের মাঠ ছাড়বেন না। ভোটের দিন কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। জনগণের দেয়া আমানত কেউ যেন চুরি করতে না পারে। এটা করতে পারলেই ধানের শীষের বিজয় কেউ রুখতে পারবে না।’

জনসভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক একেএম হারুন অর রশিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ভূঞা মনি, উত্তর জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নিহাত সালমান ডুদন, সাধারণ সম্পাদক হলুদ প্রমুখ।

কালের আলো/ওএইচ/এই