বাংলাদেশ নিয়ে অন্যদের বাড়াবাড়ির সুযোগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 7:25 pm | January 29, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশের অর্জন ও ইতিহাস সবাইকে জানানোর সময় হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেনন, আমাদের দেশে অনেকে আসে ওকালতি করতে। গণতন্ত্রের জন্য, মানবাধিকারের জন্য ওকালতি করে। তাদের বোঝাতে হবে, আমাদের দেশটা তৈরি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের জন্য। অন্যদের এখানে এসে বাড়াবাড়ি করার কোনো সুযোগ নেই। অনেকে হয়তো এটা ভুলে গেছেন, তাদের এটা স্মরণ করা দরকার। মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে এ ধরনের অর্জন বিনা বুলেটে কোথাও পাবেন না।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অর্জন–সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মোমেন বলেন, আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া। এগুলো শক্তিশালী দেশ। এর মধ্যে দুটি আমাদের প্রতিবেশী। এদের সঙ্গে আমার এমনভাবে চলতে হচ্ছে যাতে, সম্পর্কটা উন্নত করতে পারি।

তিনি বলেন, যেকোনো দেশের পররাষ্ট্রনীতি সেই দেশের স্বার্থে তৈরি করা হয়। আমরা এখন খুব ইন্টারডিপেনডেন্ট বিশ্বে থাকি। খুব ডিপেনডেন্ট, একটা কিছু হলেই ঝামেলা হয়ে যায়, এ অবস্থায় আছি।

ড. মোমেন বলেন, ‘একক দেশ হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুব সুসম্পর্ক আছে। বন্ধু দেশ বলে সে অনেক কিছু বলে, সুপারিশ দিতে পারে। বন্ধু না হলে কিছু বলত না, তখন আক্রমণ করত; বন্ধু বলে বেশি সুপারিশ দেয়। সুপারিশ ভালো হলে সেগুলো অবশ্যই গ্রহণ করি। সবকিছুতে যে আমরা পারফেকশন, এটা ভাবা ঠিক হবে না। আমাদের যদি কোনো দুর্বলতা থাকে বন্ধু বলবে। আর যদি সত্যি খারাপ কিছু হয়, সেটা দেখব।’

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য অনেক বেশি। তারাও চাচ্ছে বাণিজ্য আরও বাড়ানোর জন্য। এটা ব্যালেন্স করে চলাটা এত সহজ নয়। আমাদের একজন বড় নেতা আছেন শেখ হাসিনা। খুব বাস্তববাদী নেতা। তার ফলে আমাদের এটা সম্ভব হয়েছে।’

ড. মোমেন বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু। ঐতিহাসিকভাবে বড় বন্ধু। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক একটা অপূর্ব সম্পর্ক। দেশটির সঙ্গে সোনালী অধ্যায় সৃষ্টি হয়েছে। খুব সুন্দর সম্পর্ক। ভারত এ বছর জি-২০ প্রেসিডেন্সি পেয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া থেকে একটি দেশকে দাওয়াত করেছে। আমরা এটার সদস্য না। এই যে সম্মানটা তারা আমাদের দিয়েছে, এটা সম্ভব হয়েছে; সুসম্পর্কের কারণে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ তিনটি বড় দেশ ছাড়াও আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ অন্যান্য রাষ্ট্র। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও সৌদি আরব। সৌদি আরব ২৬ লাখ লোককে চাকরি দিয়েছে। তার সঙ্গে আমার বিভিন্ন রকমের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ রয়েছে। জাপানও বড় সহযোগী। তাদের থেকে সবচেয়ে বড় ঋণ নিয়েছি। রাশিয়ার সঙ্গে বড় সম্পর্ক। তারা আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধু। তারা আমাদের বড় নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ করছে। যথাসময়ে এটার কাজ শেষ করবে তারা।’

কালের আলো/এসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email