শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে : বিমান বাহিনী প্রধান

প্রকাশিতঃ 7:45 pm | May 28, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান বলেছেন, জাতিসংঘের চলমান শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যগণ স্টাফ অফিসার এবং মিলিটারি অবজারভার হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। পেশাগত অবদান ছাড়াও সিভিল-মিলিটারি কো-অপারেশন কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর শান্তিরক্ষীগণ সংঘাতময় অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ, দুস্থ জনগণকে কারিগরি দক্ষতা অর্জনে সহায়তা এবং চিকিৎসা ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের জনগণের আস্থাই অর্জন করেন নি, মানবসেবায় বাঙালি জাতির আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বব্যাপী।

তিনি বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সনিবন্ধ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বিশ্বদরবারে আমাদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান অর্জনে তাঁর দূরদর্শী দিকনির্দেশনা ও সুযোগ্য নেতৃত্বের জন্য।

রোববার (২৯ মে) আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বিমান বাহিনী প্রধান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’-এ মূলমন্ত্র অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ১৯৯৩ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলসমূহে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে। পুরুষ সদস্যদের পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মহিলা শান্তিরক্ষীদের কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং প্রশংসনীয় অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৪টি স্বতন্ত্র কন্টিনজেন্ট জাতিসংঘের তিনটি অঞ্চলে নিয়োজিত আছে। তন্মধ্যে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে এমআই সিরিজ হেলিকপ্টারসহ একটি ইউটিলিটি অ্যাভিয়েশন ইউনিট ও সি-১৩০ পরিবহন বিমানসহ একটি এয়ার ট্রান্সপোর্ট ইউনিট, মালিতে একটি এয়ারফিল্ড সার্ভিসেস এন্ড ম্যানেজমেন্ট ইউনিট এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে এমআই সিরিজ হেলিকপ্টারসহ একটি বাংলাদেশ আর্মড মিলিটারি ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ইউনিট মোতায়েন রয়েছে।

‘আজকের এই মহতী দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বিশ্ব শান্তিরক্ষার মহান দায়িত্ব পালনকালে শাহাদতবরণকারী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নির্ভীক শান্তিরক্ষীগণকে। আমি তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁদের এই আত্মত্যাগ চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

তিনি বলেন, জাতিসংঘ পরিচালিত আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে সারা বিশ্বে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক এবং বিশ্ব হয়ে উঠুক যুদ্ধ ও সংঘাতমুক্ত – আজকের দিনে এই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।

এ সময় বিমান বাহিনী প্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২২ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

আরও পড়ুন:

কালের আলো/এসবি/এমএম