সিনহা হত্যা মামলা : চতুর্থ ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
প্রকাশিতঃ 12:18 pm | September 28, 2021

কালের আলো সংবাদদাতা:
মেরিন ড্রাইভের বাহারছরা শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার নির্ধারিত চতুর্থ ধাপের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈলের আদালতে চতুর্থ দফার দুই দিনের সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথমদিনের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলাটির রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম। ওই মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এর আগে তৃতীয় ধাপে সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন সার্জেন্ট আয়ুব আলী, ডা. শাহীন আব্দুর রহমান ও হাফেজ সালেহ আহমেদ।
গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ৩ দিন এ মামলার তৃতীয় দফা এবং ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ৪ দিন মামলার দ্বিতীয় ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ ছিল।

এর আগে দ্বিতীয় ধাপের চার দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় ধাপের চতুর্থ দিনে সাক্ষ্য দেন ৬ নম্বর সাক্ষী শামলাপুর বায়তুর নুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম। তিন ধাপে মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসসহ ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তাদের জেরাও শেষ করেছে আসামি পক্ষ।
২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের ৯ সদস্য। তারা হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।
অপর আসামিরা হলেন- আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২ থেকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল