শেখ হাসিনা উন্নয়নের রাজনীতি করে: শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 8:28 pm | September 26, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (এমপি) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রাজনীতি করেন। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, আধুনিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নরসিংদীর মনোহরদী ডাকবাংলোতে মনোহরদী হিন্দুপাড়া সার্বজনীন দুর্গাবাড়ি মন্দির নির্মাণে শিল্পমন্ত্রীর অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রাজনীতি করে। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে রাজনীতি করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, আধুনিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

নরসিংদীতে কোনো সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমরা সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যুদ্ধ করেছি। আমরা স্বাধীনতা চেয়েছি, মুক্তি চেয়েছি যার জন্য যুদ্ধ করেছি আর রক্ত দিয়েছি। যার ফলেই আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি। নরসিংদী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি উৎকৃষ্ঠ উদাহরণ। এখানে আমরা সবাই একত্রে মিলে মিশে জাঁকজমকভাবে পূজা উদযাপন করি। আমরা পূজাতে তাদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাই। ধর্মীয় সংস্কৃতির এ সৌহার্দ্য সম্প্রীতির সেতুবন্ধন সূদৃঢ় রাখতে এবং দেশে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা রুখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

মনোহরদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ভূইয়া, নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবপুর-মনোহরদী সার্কেল) মেসবাহ উদ্দিন, মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশিষ রায়, মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে শিল্পমন্ত্রী মনোহরদী হিন্দুপাড়া সার্বজনীন দুর্গাবাড়ি মন্দির নির্মাণে ৫ লাখ টাকা অনুদান মন্দির কমিটির কাছে হস্তান্তর করেন। এর আগেও, শিল্পমন্ত্রী মন্দির নির্মাণে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন।

কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল