শুল্কমুক্ত পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি, গ্রেপ্তার ১১
প্রকাশিতঃ 3:24 pm | July 31, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
বন্ডের অপব্যবহার করে শুল্কমুক্ত কাপড় খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগে একটি চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ।
শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর নিউমার্কেট থানার এলিফ্যান্ট রোড ও তেজগাঁও থানার সাতরাস্তা মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. শাহাদাত হোসেন, মো.সাইফুল ইসলাম জীবন, মো. রুবেল আকন, মো. মাসুম, মো. মনির হোসেন, মো. রবিন ওরফে হৃদয় সরদার, মো.শাহিন হাওলাদার, মো.আরিফ হোসেন, মো. সোহাগ ফরাজী, মো. নাজিম ও মো.কামাল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত পণ্য দেশের কিছু কুচক্রি ব্যবসায়ী চোরাই পথে খোলাবাজারে বিক্রির বিষয় তথ্য পায় গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। এ তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম রাজধানীতে অভিযান করে এ চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বন্ড সুবিধায় আমদানী করা ৫০৮ রোল চোরাই পর্দার কাপড় (যার ওজন ১৮৭৫০ কেজি) উদ্ধার করা হয়। এর আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এছাড়াও চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত ০৬ টি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয় ।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা বন্ড সুবিধায় চীন থেকে শুল্কমুক্ত এসব কাপড় আমদানি করে চট্টগ্রাম পোর্ট হতে ময়মনসিংহ(ভালুকা) হয়ে রাজধানীর সাতরাস্তা স্ট্যান্ড ও এ্যালিফেন্ট রোড এলাকায় নিয়ে আসে। এসব কাপড় অতিরিক্ত লাভের উদ্দেশ্যে সুবিধামত সময়ে চোরাইপথে খোলা বাজারে বিক্রি করতো।

ডিবির এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এতে করে সরকার প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। এছাড়াও দেশের স্পিনিং, ওয়েবিং, ডাইং ও ফিনিসিং প্রতিষ্ঠান হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তারা উৎপাদিত পন্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় প্রতিযোগিতার বাজারে ক্রমান্বয়ে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে
‘সরকার প্রতি অর্থ বছরে বন্ডের মাধ্যমে ৭৩ হাজার কোটি টাকার বেশী শুল্ক ফ্রি সুবিধা প্রদান করে থাকে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী বন্ডের লাইন্সেস ব্যবহারের প্রধান শর্ত হলো বন্ডের পণ্য রপ্তানী ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। যদি কেউ বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত পণ্য বিক্রি করতে চায় (সর্বোচ্চ ২০%) সেক্ষেত্রে বন্ড কমিশনারেট থেকে অনুমতি পত্র সংগ্রহ ও বাণিজ্যিক শুল্ক প্রদান করতে হবে।’
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে কাস্টমসের পাশাপাশি ডিবি পুলিশও কাজ করছে বলে জানান ডিবির এ কর্মকর্তা।
কালের আলো/এসআরকে/এমআরবি