মিথ্যাচার-অপপ্রচারের অভিযোগে হেলেনা গ্রেফতার : র্যাব
প্রকাশিতঃ 3:14 pm | July 30, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে র্যাব সদর দপ্তর তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হয়।
র্যাব সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র্যাব হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় ও আইপি টিভিতে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে আমরা বিভিন্ন অবৈধ জিনিসপত্র জব্দ করেছি। এখন আমরা হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, পর্যালোচনা করছি। আমরা বিকেলে বলতে পারব, তাঁর বিরুদ্ধে কোন কোন আইনের ধারায় মামলা করে তাঁকে থানায় সোপর্দ করব।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা দেখেছি, তিনি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মানহানি এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছেন। এ জাতীয় কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি। পাশাপাশি তাঁর টিভি চ্যানেল এবং জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন সংক্রান্ত কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি, যা আমরা পর্যালোচনা করছি। এরপর বিকেলে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাতে পারব।
খন্দকার আল মঈন বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া মাদক, বিদেশি মুদ্রা ও বন্যপ্রাণীর চামড়া জব্দের ঘটনায় আলাদা আলাদা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও তথ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন ছাড়া জয়যাত্রা নামক টেলিভিশন চ্যানেল পরিচালনার কারণে আলাদা মামলা হওয়ার কথা রয়েছে।
আইপি টিভি পরিচালনা ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, পরিচালনা সংক্রান্ত ও নিয়োগ সংক্রান্ত অনেক ঝামেলা আছে প্রতিষ্ঠানটির। উনার আইপি টিভি পরিচালনার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (বিটিআরসি) কর্মকর্তাদের নিয়ে আমরা যে অভিযান পরিচালনা করেছি, সেখানে আমরা অনেক ধরনের সরঞ্জামদি পেয়েছি। সেগুলো একটি স্যাটেলাইট টিভির সরঞ্জামাদি। সেক্ষেত্রে বিটিআরসির সহযোগিতায় যেসব মালামাল জব্দ করা যায়, তা করেছি। সেখানে কী মামলা করা যায় টেলিযোগাযোগ আইনে, সেটাও প্রক্রিয়াধীন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় আমরা যে বৈদেশিক মুদ্রা পেয়েছি, সেটার অঙ্ক পর্যালোচনা করছি। এটা মানিলন্ডারিং-এর আওতায় পড়ে কিনা তাও পর্যালোচনা করছি। পর্যালোচনা শেষে যদি মনে হয়, এটা মানিলন্ডারিং-এর আওতায় পড়ে, তাহলে এ সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা করা হবে।
‘আমাদের সারা রাতই অভিযান চালিয়েছি। বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ হয়নি। আমরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করব। এরপর তাঁর সম্পদ বা ফ্যাক্টরির বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শেষে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে’, যোগ করেন খন্দকার আল মঈন।
কালের আলো/এসকে/বিআরবি