জনগণকে সাথে নিয়ে নিয়ে খাল দখলমুক্ত করব : মেয়র আতিক

প্রকাশিতঃ 9:08 pm | March 10, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

মশা নিধন অভিযান পরিদর্শন করতে গিয়ে বুধবার (১০ মার্চ) একটি খালও উদ্ধার করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আজ তৃতীয় দিনের মতো কারওয়ান বাজার (অঞ্চল-৫) অঞ্চলে পরিচালিত হয়।

এদিন সকাল ৮টায় ডিএনসিসি মেয়র মোহাম্মদপুর রিং রোড, শিয়া মসজিদ এলাকা, রামচন্দ্রপুর খাল এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় মশক নিধন অভিযান পরিদর্শন করেন। দুপুর ১২টায় মোহাম্মদপুরে পরিদর্শন শেষে তিনি ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনে রওনা দেন।

শ্যামলী থেকে আগারগাঁওয়ের দিকে কিছুদূর এগোলেই চোখে পড়ে কল্যাণপুর ‘চ’ খাল। খালের দুইপাশের হাঁটার পথে এমনকি খালের ওপর অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী দোকান। মেয়রের নির্দেশে এরকম কয়েকটি দোকান তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।

এরপর খালের পাশ ধরে আগারগাঁও ৬০ ফিট রাস্তার সমাজকল্যাণ মোড়ের দিকে কিছুদূর এগোতেই একটি জায়গায় খালের পাশে হাঁটার পথ আটকে যায়। সেখানে ৪০ ফুট খালের অবশিষ্ট মাত্র দুই ফুট। অবশিষ্ট ৩৮ ফুট খাল এবং ১৬ ফুট ওয়াকওয়ে মাটি দিয়ে ভরাট করে টিন দিয়ে ঘেরা। জায়গাটি আনুমানিক ১৫ কাঠা। খাল এবং হাঁটার রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে এ টিনের বাউন্ডারি দেয়া হয়েছিল।

মেয়রের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে টিনের বেড়া অপসারণ করে ভেতরে থাকা শাক-সবজির আবাদ এবং ছোট তিনটি টিনের ঘরসহ সেখান থেকে সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়।

ঘটনাস্থলের কাছেই ছিল একটি মাটি খোড়ার যন্ত্র (এক্সকেভেটর)। আতিকুল ইসলাম সেটিকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত দেন। তারপর শুরু হয় দখল হয়ে যাওয়া খাল ও হাঁটার জায়গা উদ্ধার অভিযান। বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ১০ ফুট খনন করা হয়। আগামীকালও উদ্ধার করা এই খালের খনন কাজ অব্যাহত থাকবে।

এসব দেখে তাজ্জব হয়ে যান মেয়র। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেন গুড়িয়ে দাও সকল অবৈধ স্থাপনা। সরকারি জায়গায় কোন অবৈধ দখলদারের ঠাঁই নাই। যেমন নির্দেশনা তেমন কাজ। এক্সেভেটর দিয়ে খাল পাড়ে থাকা বেড়া ও ছোট্ট ছোট খুপড়ি ঘর গুড়িয়ে দেন। এরপর খালে ভেতরের অবৈধ ভরাট উচ্ছেদ করান মেয়র।

হোসনা টাওয়ারের পক্ষ থেকে এক ব্যক্তি কাগজ নিয়ে এসে দেখাতে চাইলে মেয়র বলেন, বৈধ কাগজ থাকলে অফিসে নিয়ে আসুন। আমরা বৈধ কোন কিছুতে হাত দেব না। কিন্তু কেউ খাল দখল করে স্থাপনা করবে সেটাও হবে। দখলদারদের এক ইঞ্চিও ছাড় নয়।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এটা খালের জায়গা। বেলায়েত এই জায়গাটি মাটি ভরাট করে এখানে দখল করেছে। ফলে এখানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়, কোমর সমান পানি হয়। কারণ খাল দিয়ে পানি যেতে পারে না। আমরা এক্সকেভেটর দিয়ে এই খালটি এখনই খনন করছি। কিন্তু আমরা এই যে খাল দখল করছি, জনগণকে কষ্ট দিচ্ছি, এটি হতে দেয়া যাবে না। আসুন যেখানে যেখানে খাল দখল করে রেখেছে, জনগণকে সাথে নিয়ে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সাথে নিয়ে এই খাল দখলমুক্ত করব। এই খাল মশা উৎপাদনের উর্বর ভূমি।’

কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে আগামীকাল মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) সমন্বিত অভিযান পরিচালিত হবে। শুক্রবার ব্যতীত আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।

কালের আলো/ডিএসবি/এমএম