গত নির্বাচনগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারণেই খারাপ হয়েছিল : ইসি সানাউল্লাহ
প্রকাশিতঃ 9:55 pm | October 06, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:
বিগত নির্বাচনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে থেকে নির্বাচন খারাপ করার কাজটি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (অব.) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তবে এবার হয়ত তারা অতখানি শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে না এবং ভালো নির্বাচনের জন্য কাজ করবে বলে জানান তিনি।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রতিনিধিদের বক্তব্যর প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আস্থার সংকট দূর করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছে এবং সেই আস্থা ফেরাতে ইসির উদ্যোগ কী, তা জানা প্রয়োজন। তারা মনে করেন, আসন্ন নির্বাচন অনেক কঠিন হবে।
আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন জানান, সাংবাদিকদের বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত, তাই তিনি তাকে উত্তর দেওয়ার অনুরোধ করেন।
এরপর কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি উল্লেখ করেন, যেহেতু তিনি ইসির আইন-শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান, তাই সাংবাদিকদের বক্তব্যগুলো যৌক্তিক। তিনি স্বীকার করেন, কিছু কিছু বাহিনী ‘ট্রমা’র মধ্য দিয়ে গিয়েছে এবং গত ১৫-১৬ বছর ধরে যে ‘সাংস্কৃতিক পরিবর্তন’ ও হয়েছে, তা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, তবে আমি একটা আশার কথা বলতে চাই সেটা হচ্ছে, আমাদের খুব শক্তিশালী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হয়তোবা ছিল গত নির্বাচনগুলোতে, কিন্তু তারা কোন ভূমিকায় ছিল। তারা তো নির্বাচনকে খারাপ করার কাজটি করেছে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে থেকে। এবারে হয়তোবা তারা অতখানি শক্তিশালী থাকবে না। কিন্তু নির্বাচন ভালো করার জন্য কাজ করবে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এই বিষয়টি মাথায় রাখলে তারা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে। তিনি জানান, ঘাটতিগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে এবং জাতীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনের যা যা সক্ষমতা আছে— সেদিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে (রোভার-স্কাউটদের) রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ‘আমরা আমাদের সম্পূর্ণ সক্ষমতাকে যেন কাজে লাগাতে পারি, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মাঠ প্রশাসনসহ পাঁচটি বিশেষ সমন্বয় ও তদারকি কমিটি গঠন করেছে। আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির নেতৃত্বে আছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
কালের আলো/এসএকে