বাংলাদেশ-সৌদি ২০২০ সালের হজ চুক্তি সই
প্রকাশিতঃ 9:02 pm | December 04, 2019

কালের আলো ডেস্ক:
সৌদি আরবের জেদ্দায় ২০২০ সালের বাংলাদেশ-সৌদি আরবের মধ্যে হজ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও সৌদি আরবের পক্ষে স্বাক্ষর করেন দেশটির হজ ও ওমরাহ প্রতিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুল ফাত্তাহ বিন সোলায়মান মাশাত।
অন্যদিকে, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ প্রতিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুল ফাত্তাহ বিন সোলায়মান মাশাতের নেতৃত্বে সৌদি প্রতিনিধি দলের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর হোসাইন বিন নাসের শরীফ, হজ অফিসের মহাপরিচালক হুসনী বিন আব্দুল্লাহ বুসতাজীসহ সৌদির ১০ জন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মহ্সি, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নূরী, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল ফয়সাল আহমেদ, হজ কাউন্সিলর মো. মাকসুদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও হাব সভাপতি শাহাদত হোসেন তসলিম।
হজযাত্রীর কোটা বাড়ানো, রুট টু মক্কা ইনিসিয়েটিভের আওতায় শত ভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে করা এবং হজ শেষে দেশে ফেরার সময় জেদ্দা ও মদিনায় হাজিদের ইমিগ্রেশন সহজ করা, হাজিরা যাতে ৩০ দিনের কম সময়ে দেশে ফিরতে পারেন, ভিসা প্রসেসিং সহজ করা ও খাওয়া-থাকাসহ সৌদি আরবে বাংলাদেশি হাজিদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোসহ অন্তত ১০ দফা প্রস্তাব হজ চুক্তির সময় উপস্থাপন করা হয়েছে।
হজচুক্তির সময় বাংলাদেশ যেসব প্রস্তাব ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বৈঠকে উপস্থাপন করেন তা হলো-
১. হজযাত্রীর কোটা বাড়ানো।
২. রুট টু মক্কা ইনিসিয়েটিভের আওতায় শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে করা এবং হজ শেষে দেশে ফেরার সময় জেদ্দা ও মদিনা এয়ারপোর্টে হাজিদের ইমিগ্রেশন সহজ করা।
৩. হাজিরা যাতে ৪২ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিনের কম সময়ে দেশে ফিরতে পারেন।
৪. ভিসা প্রসেসিং সহজ করা।
৫. খাওয়া-থাকাসহ সৌদি আরবে বাংলাদেশি হাজিদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো।
৬. কালো তালিকাভুক্ত বেসরকারি এজেন্সির তালিকা দ্রুত প্রকাশ করা।
৭. হাজিদের জন্য বাধ্যতামূলক খাবার সরবরাহের প্রথা বন্ধ করা এবং মিনায় উন্নতমানের বাংলাদেশি খাদ্য পরিবেশন ও উন্নতমানের আবাসনের ব্যবস্থা করা।
৮. হজের সময় বাংলাদেশে আইন লঙ্ঘন করে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকেট বিক্রির স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।
৯. হাজি পরিবহনে বাস সার্ভিস উন্নত করা।
বাংলাদেশি হাজিদের জন্য ট্রেন পরিবহন সার্ভিস বাড়ানোর জন্য ২০২০ সালের হজ চুক্তির বৈঠকে এ প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এর আগে মক্কার আজিজিয়া ও হাইলনাসিম এলাকায় হাজিদের সম্ভাব্য নতুন আবাস্থল পরিদর্শন করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
কালের আলো/এনআর/বিএএ