পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বুকে জড়িয়ে নিলেন মেয়র অত:পর..

প্রকাশিতঃ 1:17 pm | September 16, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

সাধারণত সিটি করপোরেশনের ময়লা-আবর্জনা অপসারণের কাজ করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। কিন্তু হাল সময়ে ডেঙ্গু কঠিন আকার নেওয়ায় বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে প্রতিটি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে তাঁরা চষে বেড়াচ্ছেন। কাজ করতে হচ্ছে দিন-রাত একাকার করে।

আরও পড়ুন: মেয়র আতিককে ‘আমার মেয়র’ বললেন প্রধানমন্ত্রী, জানালেন পা ভাঙার ঘটনা

নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার এ চ্যালেঞ্জে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের আস্থা ও নির্ভরতার জায়গা এ পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাই। তাদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ওদের দু:খ-সুখ, অভাব-অভিযোগের গল্প আবার নগর পিতা শুনেন একজন সাধারণ মানুষ হয়েই।

আধুনিক, উদার, সৃজনশীল এ মানুষটিই কীনা পরম মমতায় একজন অশীতিপর বৃদ্ধা পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বুকে জড়িয়ে নিতে পারেন। মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই তাদের অবহেলিত জীবনে এনে দিতে চান প্রশান্তির সুবাতাস।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেট থেকে মশার লার্ভা ধ্বংসে দ্বিতীয় দফার চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনের আগে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালেই এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়।

মিডিয়া কভারেজের বাইরে থাকা এমন আবেগঘন দৃশ্য স্বল্প আয়ের এ কর্মীদের উজ্জীবিত করার পাশাপাশি তাদের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টিতেও নিয়ামকের ভূমিকা পালন করবে। উৎসুক অনেকেই উদার-ভালোবাসার এ ছবি মোবাইলবন্দি করেন। একজন নগর পিতার বাইরে কর্মীবান্ধব এ মানুষটি এ কর্মীদেরই মনিকোঠরে আজন্ম শ্রদ্ধা-ভালবাসার আসন পেতে থাকবেন।

একজন আবেগ অনুভূতিপ্রবণ তেজোদীপ্ত নগর পিতা আতিকুল ইসলাম পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মতোই নগরীর বাসিন্দাদের মন জয় করতে চান। নিজের অফুরান প্রাণশক্তি, কঠোর পরিশ্রম আর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমেই এ নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে চান।

এদিন মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেট থেকে মশার লার্ভা ধ্বংসে দ্বিতীয় দফার চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনকালে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রথম পর্যায়ের অভিযানের সময় প্রায় ৬৫ হাজার বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছিলাম। তখন সেসব বাড়িতে স্টিকার লাগানোসহ তাদের সাবধান করা হয়েছে।

বলা হয়েছিল, এসব বাড়িতে আমরা আবার আসবো, তখন যদি লার্ভা বা জমে থাকা পানি অথবা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ পাওয়া যায় তাহলে জরিমানা করব। আজ থেকে (১৫ সেপ্টেম্বর) আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শুরু করলাম। এবার আর কোনও মাফ নেই, জরিমানার আওতায় আনা হবে।’

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা এ শহরটাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে চাই, কিন্তু এত বড় পরিসরে সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। এজন্য প্রতিটি নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনগণ একটু সচেতন হলেই এটা করা সম্ভব।

‘এ চিরুনি অভিযানে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ভাগে ভাগ করে পরিচ্ছন্নতা এবং এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে কাজ করব। এছাড়া ওই ১০ ভাগকে আবার ১০টি সাব ভাগে ভাগ করে মোট ৩৬০টি ব্লকে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শুরু করেছি’ যোগ করেন কর্মঠ, বিনয়ী ও স্বপ্নবাজ মেয়র।

কালের আলো/এমএইচ/এএ