রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অপরাধ দমনে পরিকল্পনা নেবে তিন বাহিনী : আইজিপি

প্রকাশিতঃ 10:43 pm | July 09, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অপরাধ দমনে তিন বাহিনী পরিকল্পনা নেবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম(বার)।

তিনি বলেছেন, কিভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় এ বিষয়ে পরিকল্পনা নেয়া হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পে অপরাধ দমনেও পরিকল্পনা নিবে তিন বাহিনী।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে রাত সাড়ে আটটার দিকে ১৭ নং ক্যাম্পে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর জনবল বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান।

তিনি বলেন, প্রায় ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এখানে (কক্সবাজার) বসবাস করছে। সে তুলনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অপ্রতুল। যে কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে এনে এখানে দায়িত্ব পালন করাতে হচ্ছে। তাই এসব বিবেচনায় নিয়ে লোকবল বাড়ানো হবে।

ড. জাবেদ মোহাম্মদ পাটোয়ারী বলেন, রোহিঙ্গা শিবির নিয়ে স্থানীয়দের জনজীবনে যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় এবং শিবিরগুলোতে যাতে রোহিঙ্গাদের কারণে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে না পারে সেটাই তিন বাহিনী প্রধান ঘুরে দেখেছেন।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলাসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতেই আমাদের এ সফর। এসব বিষয়গুলো আমরা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করলাম। এখানে কী সমস্যা, কী সঙ্কট আছে, এখান থেকে গিয়ে সবকিছু বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এসময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি’র) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম ও র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন প্রধানসহ চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এ সময় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকসহ জেলার শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিতি ছিলেন।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তিন প্রধান প্রথমে উখিয়ার মধুরছড়া পুলিশ ক্যাম্প পরিদশর্ন করেন। সেখান থেকে ময়নারঘোনা ১৭ নম্বর ক্যাম্পে যান। এ সময় এ প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক অবস্থা ঘুরে দেখেন তারা।

পরে ১৭ নম্বর ক্যাম্পের সিআইসির কার্যালয়ে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

বৈঠকে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ্দোজা নয়ন, ক্যাম্প ইনচার্জ মো. মো. ওবায়দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এআর/এনএল