সকালের বৃষ্টিতে পানিতে ভাসছে ময়মনসিংহ নগরীর ৬ এলাকা
প্রকাশিতঃ 6:18 pm | May 20, 2025

ময়মনসিংহ প্রতিবেদক, কালের আলো:
ময়মনসিংহ নগরীতে সকালে পৌনে এক ঘণ্টা বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টিতে নগরীর ছয়টি এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে নগর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে সরেজমিনে নগরীর উত্তর ও দক্ষিণ অংশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোগান্তির এই দৃশ্য দেখা গেছে।
জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া এলাকাগুলো হলো- নগরীর ভাটি কাশর, বলাশপুর, ধোবাখলা, আলিয়া মাদরাসা, চরপাড়ার নয়াপাড়া এবং আউটার স্টেডিয়াম এলাকা। এসব এলাকায় হাঁটু পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীতে ভারি বৃষ্টি হয়। এ সময় নগরীর প্রাণকেন্দ্র সি.কে ঘোষ রোডের ছায়াবানী সিনেমা হলের সামনে থেকে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ, সিটি কর্পোরেশনের বাশবাড়ী কলোনি, কাচিঝুলি গোলাপজান রোড, আনন্দ মোহন কলেজ রোড, সানকিপাড়া ও মীরবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তবে এসব এলাকার জমে থাকা পানি কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ধীরে ধীরে নেমে গেলেও নগরীর ভাটি কাশর, বলাশপুর, ধোবাখলা, আলিয়া মাদরাসা, চরপাড়ার নয়াপাড়া এবং আউটার স্টেডিয়াম এলাকায় বৃষ্টির পানি আটকে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ভাটিকাশর এলাকার বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন রেজা বলেন, বৃষ্টি যেন আমাদের জন্য অভিশাপ। কারণ সামান্য বৃষ্টিতে আমাদের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পচা-দুর্গদ্ধমাখা হাঁটু পানি মাড়িয়ে চলতে হয় স্থানীয়দের। বিষয়টি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বার বার নগর কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও মিলছে না কার্যকর প্রতিকার।
নগরীর ধোপাখলা এলাকার বাসিন্দা মো. আহমেদ শাকিল বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে নগরীতে যে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে, তা নগরবাসীর জন্য ব্যাপক ভোগান্তির কারণ। মনে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা কাজ করছে না। বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এছাড়াও নগরীর বাশঁবাড়ী কলোনি এলাকায় বৃষ্টির পানি আটকে বাসাবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কিছুক্ষণের বৃষ্টিতেই এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অনেকের ঘরে পানি ঢুকেছে। রান্না করার মতো পরিস্থিতিও নেই। টানা দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টি হলে ভোগান্তির মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। আমরা ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে নগরীতে থাকি, তবুও জলাবদ্ধতার ভোগান্তি কেন আমাদের পোহাতে হচ্ছে।
নগরীর গোলাপজান রোড এলাকার বাসিন্দা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ড্রেন দিয়ে ঠিকমতো বৃষ্টির পানি নামছে না। অনেক দিন ধরে ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় পানি নামছে না।
তবে জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুমনা আল মাজীদ বলেন, নগরীর বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। তবে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি লাঘবে নগরবাসীর সহযোগিতা একান্ত অপরিহার্য। যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে নগরীর ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।
কালের আলো/এমডিএইচ