তাওয়াফের সময় নির্দিষ্ট কোনো দোয়া পড়তে হবে?

প্রকাশিতঃ 3:07 pm | May 04, 2025

ধর্ম ডেস্ক, কালের আলো:

হজ ও  ওমরার ফরজ একটি কাজ তাওয়াফ করা। ওমরার ইহরাম বাঁধার পর পবিত্র কাবাগৃহ সাতবার প্রদক্ষিণ করতে হয়। আর হজের সময় ইহরাম বেঁধে, মিনা, মুজদালিফা এবং আরাফার ময়দানে অবস্থানের পর ১০ জিলহজ ভোর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় কাবাঘর তাওয়াফ বা সাতবার প্রদক্ষিণ করা ফরজ।

তাওয়াফের ফজিলত সম্পর্কে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বাইতুল্লাহর চারদিকে তাওয়াফ করা নামাজ আদায়ের অনুরূপ। তবে তোমরা এতে (তাওয়াফকালে) কথা বলতে পারো। সুতরাং তাওয়াফকালে যে ব্যক্তি কথা বলে সে যেন ভালো কথা বলে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬০)

এ সময় হাদিসে বর্ণিত যেকোনো দোয়া পড়া উত্তম। তাওয়াফের প্রতি চক্করের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নির্দিষ্ট দোয়া পড়াকে জরুরি মনে করেন অনেকে। ফলে নির্দিষ্ট ওই দোয়া শেষ হয়ে গেলে অন্য দোয়া পড়েন না। নির্দিষ্ট দোয়াটি নিজের মুখস্থ না থাকলে অন্যের সাহায্য নিতে দেখা যায়। এ ধারণা ভুল।

কারণ, তাওয়াফ অবস্থায় নির্দিষ্ট দোয়া পড়া জরুরি নয়। রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদের মাঝে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনিয়া হাসানাহ … ’ এই দোয়া পড়া উত্তম। এটি হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত।

এ ছাড়া পুরো তাওয়াফে মাছূর দোয়া তথা কোরআন-হাদিস বা সাহাবায়ে কেরাম থেকে বর্ণিত যে কোনো দোয়াই পড়া যেতে পারে। এমনিভাবে অন্য যে কোনো ভালো অর্থবোধক দোয়াও পড়া যেতে পারে। দোয়া আরবীতে করাও জরুরি নয়। নিজের ভাষায় করা যেতে পারে।

হজরত আতা রহ. বলেন, আবু হুরায়রা রা. আমার নিকট হাদিস বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সা.–কে বলতে শুনেছেন,…যে ব্যক্তি সাতবার বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে এবং কোন কথা না বলে নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে

سُبْحَانَ اللّٰهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰه

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লি-ল্লাহি ওয়ালা ইলাহা- ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ

 তার দশটি গুনাহ মুছে যাবে। তার জন্য দশটি নেকী লেখা হবে এবং তার মর্যাদা দশগুণ বর্ধিত করা হবে। আর যে ব্যক্তি তাওয়াফ করে এবং এ অবস্থায় কথা বলে, (উপরোক্ত জিকির করে বা অন্য কোনো মাসনুন জিকির করে।) সে তার দুই পা রহমতের মধ্যে ডুবিয়ে রাখে; যেমন কারো পা পানিতে ডুবিয়ে রাখে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৯৫৭)

কালের আলো/এসএকে