করহার খুব বেশি কমানোর সুযোগ নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান

প্রকাশিতঃ 3:14 pm | April 13, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, করহার খুব বেশি কমানোর সুযোগ নেই। তবে কোম্পানি লোকসান করলেও কর দিতে হয়, সেখানে নতুন বাজেটে কিছু করার চেষ্টা থাকবে। অন্যদিকে আমদানিতে শুল্কহার কমানো হবে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক শুল্কহার আরও যৌক্তিকীকরণ করা হবে।

রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এ আলোচনায় সহযোগিতা করে দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোর। ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন সমকাল সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী।

এনিবআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত খুবই কম। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে কর দেওয়ার প্রবণতা কম। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ১ কোটি ৪৫ লাখ টিআইএনর মধ্যে ৪৫ লাখের মতো রিটার্ন জমা দেন। রিটার্ন জমা দেওয়াদের মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগই করযোগ্য আয় নেই বিবেচনায় শূন্য রিটার্ন দিয়েছেন।

এনবিআরের কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে অটোমেশন করতে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘অটোমেশন ছাড়া আমাদের বিকল্প নেই। আমরা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কর প্রদান মোবাইল অ্যাপে আনার জন্য কাজ চলছে। আগামী অর্থবছর থেকে যাতে ব্যক্তি আয়কর দাতারা সবাই অনলাইনে রিটার্ন জমা দেন, আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। অন্যদিকে কোম্পানি করদাতাদেরও আমরা একই প্রক্রিয়ায় আনার চেষ্টার করছি।’

তিনি আরও বলেন, ব্যক্তি ও কোম্পানির আয়কর হার কমানোর সুযোগ নেই। তবে করদাতারা আগামী বাজেটে ইতিবাচক বার্তা পাবেন। কর ব্যবস্থা বৈমষ্যহীন করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, আমাদের রাজস্বের বেশির ভাগই আসবে ভ্যাট ও আয়কর থেকে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের প্রেক্ষিতে নয়, এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণেও আমদানি কমিয়ে আনতে হবে।

সার্বিকভাবে সরকার বৈষম্যহীন করনীতি প্রণয়ন চায়। সবার জন্য একই রেট করতে চাই। কারও ক্ষেত্রে কম, কারও ক্ষেত্রে বেশি এমনটি হবে না। দীর্ঘদিন ধরে দেওয়া কর অব্যাহতি নতুন বাজেটে কমানো হবে।

কালের আলো/এসএকে