মুক্তাগাছায় অ্যাম্বুলেন্স ভর্তি মদ আটক
প্রকাশিতঃ 9:24 pm | March 21, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
অসুস্থ রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে ব্যবহার করা হয় অ্যাম্বুলেন্স। সেক্ষেত্রে পুলিশের নজরদারি খুব একটা থাকে না। আর সেই সুযোগটিই কাজে লাগিয়ে রোগীর বদলে মদ পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স। মদের পারিমাণ একেবারেই কম নয়, ৯৪৫ লিটার। অবাক করার মত ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। অত:পর সন্দেহ হওয়ায় মদ ভর্তি অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে দিলো পুলিশ। আটক করা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটির চালক শহীদুল ইসলামকেও।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে এমন ঘটনা ঘটে। এদিকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থানায় ধরনা দিচ্ছে এ মাদক ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য। নিজেদের মদ দাবি করে তারা বলছে আটক করা এ মদ বৈধ।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ মোল্লা জানান, দুপুরে ময়মনসিংহ থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স টাঙ্গাইলের দিকে যাচ্ছিল। মুক্তাগাছা সদরে পৌঁছলে এসআই আলী আজহারের নেতৃত্বে থাকা একদল পুলিশের সন্দেহ হলে সেটি আটক করে। তল্লাশি করলে রোগীর বদলে ভেতরে দেখা মেলে ৩৫ টি প্লাস্টিকের কন্টিনার। প্রত্যেকটি কন্টিনারে পাওয়া যায় বাংলা মদ। পরে পুলিশ সেটিকে থানায় নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ময়মনসিংহ থেকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক চন্দন গোপাল সুর মুক্তাগাছা থানায় গিয়ে এসব মদ বৈধ দাবি করে মদসহ অ্যাম্বুলেন্সটি ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু বৈধ কাগজ ছাড়া পুলিশ অ্যাম্বুলেন্স, মদ এবং চালককে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। ওসি জানিয়েছেন, বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অ্যাম্বুলেন্সের চালক শহীদুল ইসলাম জানিয়েছে, সে ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ থেকে ৯৪৫ লিটার বাংলা মদ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পোড়াপাশা গ্রামে নিয়ে যাচ্ছিল। সেখানকার মো. রনি মিয়া ওই মদের মালিক।
কালের আলো/ওএইচ