নৌপথে চাঁদাবাজি ঠেকাতে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটিকাটি হয়েছিল এসপি হারুনের!
প্রকাশিতঃ 2:26 pm | March 11, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ
নারায়ণগঞ্জের নৌপথে চাঁদাবাজি ঠেকাতে এক মন্ত্রীর সাথে ঝগড়া করতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া।
তিনি বলেন, নৌপথে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা তোলা হচ্ছে। এক মন্ত্রী ফোন করে বলেছেন, তার লোকজন এটা করে খায়। আমি পাল্টা প্রশ্ন করি আপনার নাম ব্যবহার করে কেন এ চাঁদার টাকাটা তোলা হচ্ছে? এতে আপনি আমার প্রতি মনক্ষুন্ন হলেও আমার কিছু করার নেই।
রোববার(১০ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কাগজপত্র ব্যতীত নৌপথে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার এসব চাঁদাবাজি হচ্ছিল। চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছিল। নৌপরিবহন মন্ত্রীর সাথেও এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। অবশেষে সেই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
পুলিশ সুপার বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে কোনো প্রকার অরাজকতা, কারচুপি হতে দেয়া হবে না। জনগণ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এ জন্য আমাদের যা যা করণীয় আমরা তা করব।
এসপি হারুন বলেন, এই জেলার বড় সমস্যা হচ্ছে মাদক, চাঁদাবাজি। এ ছাড়া, রাস্তাঘাট, যানজটসহ নানা ধরনের সমস্য তো রয়েছেই। এ ধরনের পরিস্থিতে আমাদের ধীরে ধীরে খুব সতর্কতার সাথে কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মাদক চোরাচালান করবে, চাঁদাবাজি করবে কিন্তু আমরা তাকে ধরতে পারব না, এমনটি হতে দিতে পারি না। এমন অবস্থায় আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। আমরা কোনো দল দেখছি না। জেলার রূপগঞ্জ, ফতুল্লা বন্দরসহ প্রত্যেকটি উপজেলায় অনেক মাদক কারবারি রয়েছে। এরা বড় ভাইদের ম্যানেজ করে মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।
এসপি জানান, জেলায় গত তিন মাসে চার ওসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গার্মেন্ট সেক্টরে যেসব অসন্তোষ ছিল সেটি এখন আর নেই বলে জানান এসপি।
তিনি বলেন, জেলায় এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জুয়া। বিভিন্ন জুয়ার আসর থেকে এ পর্যন্ত ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বিভিন্ন আবাসিক হোটেলগুলোতে অভিযান পরিচালা করা হচ্ছে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসিম উদ্দিন হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তা ও নাগরিক সমাজের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এমএইচএ