কুমিল্লার দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পাবে ১ লাখ, আহতরা ৫০ হাজার

প্রকাশিতঃ 11:28 am | January 26, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ শ্রমিকের প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার মন্ত্রনালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল শুক্রবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি ইটভাটার মেসে কয়লাবাহী ট্রাক উল্টে পড়ে ঘুমন্ত ১৩ জন শ্রমিক নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরও দুজন।

ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গোলপাশা ইউনিয়নের করিমপুরের (দোসরী) কাজী অ্যান্ড কোং ইটভাটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, কয়লা আনলোড করার সময় ট্রাকটি পেছনের দিকে যেতেই হঠাৎ উল্টে গিয়ে ভাটার লেবার শেডের ঘুমন্ত শ্রমিকদের ওপর পড়ে। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই ১২ শ্রমিক নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও একজন। ওই শেডে ১৫ জন ঘুমাতেন বলে জানা গেছে।

ঘটনাস্থলে নিহতরা হলেন- নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের সুরেশচন্দ্র রায়ের ছেলে রঞ্জিতচন্দ্র রায় (৪৫), তার ভাই তরুণচন্দ্র রায় (২৫), একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. সেলিম (২৮), অমলচন্দ্র রায়ের ছেলে দীপুচন্দ্র রায় (১৯), কিশোরচন্দ্র রায়ের ছেলে শংকরচন্দ্র রায় (২১), রাম প্রসাদের ছেলে বিপ্লব রায় (১৯), কামিক্ষার ছেলে অজিত রায় (২০), শিমুলবাড়ি গ্রামের মনোরঞ্জনচন্দ্র রায় (১৯), একই গ্রামের খোকাচন্দ্র রায়ের ছেলে মৃণালচন্দ্র রায় (২১),

পাঠানপাড়া গ্রামের নূর আলমের ছেলে মোরসালিন (১৮), একই গ্রামের ফজলুল করিমের ছেলে শামসু (১৮), রাজবাড়ি গ্রামের খোকাচন্দ্র রায়ের ছেলে বিকাশচন্দ্র রায় (২৮) এবং ধলুচন্দ্র রায়ের ছেলে কনকচন্দ্র রায় (২৫)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রঞ্জিতচন্দ্র রায়।

অপরদিকে গুরুতর আহত দুজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। তারা সবাই কাজী অ্যান্ড কোং নামে একটি ইটভাটার শ্রমিক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে ১৩ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমটি গঠন করা হয়েছে। একটি জেলা প্রশাসন ও অপরটি পুলিশ প্রশাসনের। জেলা প্রশাসনের চার সদস্যের কমিটিকে সাত দিনের এবং পুলিশের তিন সদস্যের কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কমিটিতে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কায়জার মাহমুদ ফারাবীকে প্রধান করা হয়েছে। আর পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুনকে।

কালের আলো/এএ/এমএইচএ