পায়ে হেঁটেই আধা কিলোমিটার সড়ক পাড়ি প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশিতঃ 12:31 am | January 10, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থল এবং তার পৈত্রিক নিবাস টুঙ্গীপাড়ায় এলে শেখ হাসিনা যেন শৈশবের সোনাঝরা দিনগুলোর মাঝে হারিয়ে যেতে চান। প্রটোকল আর বিধি-নিষেধের বেড়াজালটি যেন বার বারই ছিন্ন করে জনগণের নেত্রী মিশে যেতে চান জনতার কাতারে।
বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীতে ফেরার পথে একটি অসাধারণ ঘটনা প্রবাহের জন্ম দিলেন বঙ্গবন্ধুর এই জ্যেষ্ঠ কন্যা। ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে টুঙ্গীপাড়ায় তার পৈত্রিক নিবাস থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে রাখা হেলিকপ্টার পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা পায়ে হেঁটেই ছুটলেন তিনি। হেলিপ্যাড পর্যন্ত স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর এই আকস্মিক হেঁটে যাওয়া দেখে সবাই রীতিমত অবাক হন।
সরকারি কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীকে এসময় বলতে শোনা যায়, ‘এখানে গাড়ির কোন প্রয়োজন নেই এইটুকু পথ তো হেঁটেই যাওয়া যায়।’ দুই বোনের হাঁটা দেখে সকলকে তাদের পিছু নিতে হলো। অথচ গত সেপ্টেম্বরেই ৭২ বছরে পা রেখেছেন বিশ্ব মানবতার জননী উপাধিতে ভূষিত এই বিশ্ব নেতা।

এই টুঙ্গিপাড়ায় এর আগেও এসে নাতি-পুতিদের নিয়ে রিকশা ভ্যানেও চড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (৯ জানুয়ারি) সকালেই জাতির পিতার সমাধিসৌধে কবর জিয়ারতে নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে টুঙ্গীপাড়া এসেছিলেন শেখ হাসিনা।

তিনি জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ছাড়াও, ফাতেহা পাঠ করে বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন এবং ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধির পাশে বসে কোরআন তেলাওয়াত করেন।
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা, যারা এদিন জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তারাও এসেছিলেন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, বাসে চড়ে। নিজস্ব পতাকা শোভিত জমকালো গাড়ি নিয়ে নয়।
কালের আলো/এএ/এমএইচএ