শিক্ষা মেগা প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 6:05 pm | February 07, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

শিক্ষা মেগা প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হলে শিক্ষায় আরও বরাদ্দ বাড়বে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রীর হাতেই আজ যেমন মেগা প্রকল্প হচ্ছে, এগুলো জরুরি, এগুলো যখন হয়ে যাবে তারপর শিক্ষা আমাদের মেগা মেগা প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে, আরও অনেক বেশি বরাদ্দ আমরা পাব।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ২০২৩’ পাসের জন্য উপস্থাপন করা হলে এর ওপর জনমত যাচাই-বাছাইয়ের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

দীপু মনি বলেন, আগে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র‌্যাংকিংয়ের কথা তো চিন্তাই করা হতো না। গত কয়েক বছর ধরে র‌্যাংকিংয়ের ‍ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। যেসব ফ্যাক্টরের ওপর র‌্যাংকিং নির্ভর করে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন সে দিকে মনোযোগী হয়েছে।

তিনি বলেন, গত দুই বছর ধরে দেখছি, আমাদের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ও র‌্যাংকিংয়ে আগের তুলনায় উপরের দিকে উঠে আসছে। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক অনেক দূর। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি-টেন্ডারবাজির কথা বলা হয়েছে। আগে অন্য সরকারের সময় কী অবস্থা ছিল, তা আমরা জানি। নিত্যদিন হত্যাকাণ্ড আমরা দেখেছি।

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে এসেই শিক্ষাঙ্গন শান্ত, সেশনজট নেই। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকানি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকানি দিয়ে কোনো কারিকুলাম তৈরি হয় না। কারিকুলাম নিয়ে যদি কেউ মিথ্যাচার, অপপ্রচার করে, সেই দায় কিন্তু সেই অপশক্তির, সেই দায় নিশ্চয়ই কারিকুলামের নয়।

তিনি বলেন, বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যাই বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়- এসব বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের সময়েই হয়েছে। সময়ের প্রয়োজনে যেগুলো প্রয়োজন হবে, অবশ্যই সেগুলো স্থাপিত হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আর্থিক বরাদ্দ কমের কথা বলেছেন, আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এরমধ্যেও যতদূর সম্ভব আমরা দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, শ্রীলঙ্কার চেয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে খারাপ বলা হয়েছে। বহুদিন আগে আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, তখন সেই সময় তাদের শিক্ষিতের হার শতভাগ ছিল। সেই শ্রীলঙ্কা আজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আর বাংলাদেশকে এক সময় অন্যায়ভাবে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হয়েছিল। সেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়। পার্থক্যটা এখানেই।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়ে যারা কান্নাকাটি করেন, তাদের সবাইকে একটু বলতে চাই, আমাদেরই সন্তানেরা একেবারে গ্রাম-গঞ্জ থেকে উঠে গিয়ে বিশ্বের নানান জায়গায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে পুরস্কার নিয়ে আসছে। তা যেন আমরা মনে রাখি। একটু খোঁজ-খবর নিয়ে যদি আমরা বলি, তাহলে ভালো হয়। সনদ যারা বিক্রির তথ্য এলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কালের আলো/এসবি/এমএম