বিদেশের মাটিতেও টাইগারদের উন্নতি চান রোডস

প্রকাশিতঃ 9:25 pm | November 02, 2018

খেলা ডেস্ক, কালের আলো:

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অভিষেক টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শনিবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ। কিন্তু টাইগারদের কোচ স্টিভ রোডসের চোখ এই সিরিজ ছাড়াও বিদেশের মাটিতে সাফল্য। অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতেই সেই লক্ষ্যে পা রাখতে চান তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট নামার আগে শুক্রবার সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান তিনি।

টাইগারদের কোচের দায়িত্ব নিয়ে নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট তথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট সিরিজে দলের ভরাডুবি দেখতে হয়েছে রোডসকে। যদিও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের হারিয়ে দেন মাশরাফি-সাকিবরা। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে ভরাডুবির শিকার হতে হয়েছে মুশফিকদের। শুধু শ্রীলঙ্কায় গিয়ে সিরিজ ড্র করার স্বস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে সেখানে তিন টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলবেন রোডসের শিষ্যরা। টাইগারদের কোচ রোডস মনে করেন, দেশের মাটিতে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে খেলতে থাকলে একই লেভেলে বিদেশের মাটিতে খেলা কঠিন হবে দলের জন্য।

তিনি বলেন, “ ভালো টেস্ট দল হতে আমাদের আরও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আমরা বাংলাদেশে খেলার পদ্ধতি শিখেছি যা আমাদের সেরাদের সঙ্গে (ঘরের মাঠে) প্রতিযোগিতা করার সামর্থ্য এনে দিয়েছে।”

বিদেশে সাফল্য নিয়ে তিনি বলেন, “যখন আমরা বাইরে যাই, সেখানকার উইকেটে কিভাবে বোলিং করতে হবে তা আমাদের শিখতে হবে। সেসব উইকেটে বল করতে সক্ষম এমন বোলার তুলে আনতে হবে আমাদের। সবচেয়ে বড় কথা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছি। আমি বুঝতে পারছি আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে।”

অবশ্য বিদেশের মাটিতে যে রাতারাতি ভালো করা যে সহজ নয় সেটিও বুঝতে পারছেন রোডস। তিনি বলেন, “আমরা বাউন্স ও সিমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কিছু পরিবর্তন আনার চিন্তা করছি। আমরা যে ধরনের পিচে খেলি সেখানে এসব একটু কঠিন। আমরা অস্ট্রেলিয়াকে এই স্পিন কন্ডিশনেই হারিয়েছি। আমরা কেন খেলি? জেতার জন্য। তারা (অস্ট্রেলিয়া) ইংল্যান্ডকে হারায়। এটা বিষয় নয় কিভাবে করছেন আপনি, জেতাটাই আসল।”

বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বেশিদিন হয়নি। এখনই সব বদলে যাবে এমনটা তিনি দেখেন না। তিনি তো মাত্র শিক্ষকের ভূমিকা পালন করতে এসেছেন। ফলে শিষ্যদের সেরাটা বের করে আনাই তার কাজ। তবে সেজন্য কিছু সময়ও দিতে বললেন তিনি।

তার ভাষায়, “আমি একজন শিক্ষক এবং খেলোয়াড়দের আরও ভালো কিভাবে করা যায় সেই চেষ্টা করাই আমার কাজ। আমাদের সময় দিন; চলুন দেখি কি হয় এবং এই ব্যাটসম্যানরা কতোটা পথ যেতে পারে।”

কালের আলো/ওএইচ