শিক্ষক হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশিতঃ 1:56 pm | September 15, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
শরীয়তপুরের পালং থানার চিকন্দী আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ আজাদকে হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্লা, আজিজুল মাতবর, ফারুক খান, আজাহার মাতবর, মীজান মীর, আকতার গাজী, জলিল মাতবর, এমদাদ মাতবর ও লাল মিয়া। দণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন আজিবর বালী, আব্দুল খন্দকার, খোকন বেপারী, আজাহার মোল্লা ও ছোরাব মোল্লা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি সরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন আব্দুস ছামাদ আজাদ। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লার কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর জন্য তিনি এলাকায় পোস্টারিং করে আসছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হালিম মোল্লা হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি শিক্ষক ছামাদ আজাদ সন্ধ্যা ৭টার দিকে শরীয়তপুর জেলার পালং থানাধীন সন্তোষপুর বাসস্ট্যান্ডস্থ লক্ষ্মীর মোডের বাবুল মুন্সির কোকারিজের দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তার উপর আসার পরই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে রহিম পেদা, ওয়াজেদ শীল, সেলিম ফকির, ইসাহাক মুন্সী ও বিশ্বজিৎ শীল গুলিবিদ্ধ হয়।
ওই ঘটনায় তৎকালীন চেয়ারম্যান হালিম মোল্লা ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিবর বালীসহ ৩০ জন এবং অজ্ঞাতামানা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে পালং থানায় একটি মামলা করেন নিহতের স্ত্রী। মামলাটি তদন্তের পর একই বছর ১৪ আগস্ট একই থানার এসআই শহীদুল ইসলাম ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
পরে মামলাটি নারাজির ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তে যায়। অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১১ মে একই থানার এসআই সুলতান মাহমুদ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল