বিজিবি-বিএসএফ কাবাডি প্রতিযোগিতা দু’দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা দেবে : ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 9:48 pm | June 12, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো : 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে প্রীতি কাবাডি প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ বহুমাত্রিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী  জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। 

তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের মূলে রয়েছে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, মানুষে মানুষে বন্ধন, অসাম্প্রদায়িকতা ও গণতন্ত্রের অভিন্ন মূল্যবোধ এবং অনেক অগণিত বিষয়ে সাদৃশ্য। এ সম্পর্কের ভিত্তি সার্বভৌমত্ব, সমতা, বিশ্বাস, সমঝোতা এবং অংশীদারিত্ব যা কৌশলগত সম্পর্কের ঊর্ধ্বে। 

গত কয়েক বছরে নতুন নতুন ও উচ্চপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত আজকের প্রীতি কাবাডি ম্যাচ দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ বহুমাত্রিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা দেবে।’

বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় বিজিবি এবং বিএসএফ’র মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীর পিলখানার বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে বিজিবি-বিএসএফ প্রীতি কাবাডি ম্যাচের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন । 

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল  বলেন, সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সর্বোত্তম পর্যায় অতিক্রম করছে। এ সম্পর্ক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময় উভয় দেশের নেতৃত্বে বেশ কিছু নতুন ও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। উভয় দেশের জনগণের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে অংশীদারিত্ব সহযোগিতা দিয়ে যেতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ার উন্নয়নে উভয় দেশ নিবিড় ভাবে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা ছিল অনবদ্য। বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ভারত এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পরপরই ভারত বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সেই সম্পর্ককে বর্তমান সরকার আরো সুদৃঢ় করেছে। 

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বন্ধুত্বপূর্ণ এ প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণকারী উভয় দেশের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। পরে খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি। 

এ অনুষ্ঠানে বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম, বিএসএফ মহাপরিচালক রজনী কান্ত মিশ্র, সীমান্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী উভয় দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আর বিজিবি’র কর্মকর্তা, বিজিবি সদস্য এবং পিলখানার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রীতি কাবাডি ম্যাচ উপভোগ করেন।

কালের আলো/এমএইচএ/এএ