প্রধানমন্ত্রীর ফিরতি ফ্লাইটে পাইলট ফারাহাত জামিলকে প্রত্যাহার

প্রকাশিতঃ 10:22 am | September 30, 2018

কালের আলো ডেস্ক:

সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফিরতি ফ্লাইটের সিডিউলে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-এর পাইলট ক্যাপ্টেন ফারাহাত জামিলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনতে যাওয়া ফ্লাইটের ককপিটে বসার পর তাকে নামিয়ে আনা হয়। বিমান বলছে, তাকে ‘নিরাপত্তাজনিত’ কারণে অফলোড করা হয়েছে।

জানা গেছে, ক্যাপ্টেন ফারাহাত জামিলের পরিবর্তে ওই ফ্লাইট অপারেট করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পাইলট ক্যাপ্টেন গোলাম মোহাম্মদ খাজাকে। ক্যাপ্টেন ফারাহাত জামিলকে প্রত্যাহার করে নতুন একজনকে দায়িত্ব দিতে গিয়ে লন্ডন থেকে ফ্লাইটটি ছাড়তে দেড় ঘণ্টা বিলম্বিত হয়।

তবে এ বিষয়ে জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, ‘বিষয়টি এমন না। অপারেশন শাখা আমাকে জানিয়েছে, চাকা লাগানোর জন্য লন্ডন ফ্লাইট দেড় ঘণ্টা দেরি হয়েছে।’

ফারাহাতকে তাহলে কেন প্রত্যাহার করা হয়েছে? -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী লন্ডনগামী ফ্লাইট ছাড়ার পূর্বমুহূর্তে কেবিন ক্রু মাসুমা মুফতিকে হযরত শাহ জালাল বিমানবন্দরে ব্রিফিং রুমে ডোপ টেস্টে মদ্যপ অবস্থায় শনাক্ত করা হয় এবং তাকে অফলোড করা হয়। এরপর ক্যাপ্টেন ফারহাত জামিল প্রকাশ্য মুফতি ‘ভালো মেয়ে’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সে দিন এ ঘটনার পরবর্তী করণীয় পদক্ষেপ না নিয়ে পরিচালক ক্যাপ্টেন ফারহাত জামিল ওই একই ফ্লাইটের পাইলট ইন চিফ হিসেবে লন্ডন চলে যান। একই সঙ্গে তিনি ওই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া একই ফ্লাইটে ডিউটি করতে লন্ডন যান ডিজিএম (কেবিন ক্রু) নুরুজ্জামান রঞ্জু। ঘটনাটি মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।

এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য বাংলাদেশ বিমান মুফতিকে গ্রাউন্ডেড এবং রঞ্জুকে ডিজিএম-এর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। কিন্তু ওই ঘটনায় রহস্যজনক নীরব থাকা ও দায়িত্বহীনতার পরও ফারাহাত জামিলের বিরুদ্ধে বিমান কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

কালের আলো/জেএন

Print Friendly, PDF & Email