টঙ্গীর খালে ভাসমান লাশের রহস্য উদঘাটন, আটক ১

প্রকাশিতঃ 4:26 pm | April 12, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

টঙ্গী তুরাগ নদের শাখা খাল থেকে উদ্ধার লাশের রহস্য উদঘাটন করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আতাউল হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

তার দেয়া স্বীকারোক্তিমতে, পাঁচ লাখ টাকার মুক্তিপণ না পেয়ে ইসমাইল সরকারকে (১৪) হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেয় অপহরণকারী চক্রটি।

ইসমাইল রাজধারীর তুরাগ থানার কামারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। তার বাবার নাম মো: নূর নবী সরকার। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার ধানঘরা গ্রামে।

জিএমপি জানায়, গত ১৯ মার্চ সন্ধায় টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কর্তৃক তুরাগ নদীর শাখা নদীর কিনারায় পানিতে চারদিকে হাত-পা ছড়ানো, পরনে নীল রঙের জিন্স প্যান্ট এবং নীল রঙের টি শার্ট পরিহিত ভাসমান অবস্থায় একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলা পেনাল কোড রুজু হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মামলাটি তদন্তকালে ভিকটিমের পরিচয় শনাক্তে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সহ আশপাশের জেলাগুলোতে ভিকটিমের ছবিসহ বেতার বার্তা প্রেরণ করা হয়। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়।

এছাড়া রেলস্টেশন বাস স্টেশন সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে জনসমাগমের স্থানে ভিকটিমের ছবি প্রিন্ট করে টানিয়ে দেয়া হয়। এরপর তুরাগ থানার হারানো জিডির সূত্র ধরে ভিকটিমকে সনাক্ত করা হয়।

পরে পুলিশ ভিকটিমের বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামি আতাউল হোসেনকে (৩৫) রোববার গ্রেফতার করে। আতাউল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে। পরে তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গ্রেফতারকৃত আতাউল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার রামনগর গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে।

স্বীকারোক্তিতে তিনি জানায়, তিনি ও তার আরো দুই সহযোগী স্কুলছাত্র ইসমাইলের বাবার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকার মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে তাকে অপহরণ করে। অবশেষে তারা মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ইসমাইল হোসেনকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে রেখে যায়।

কালের আলো/এসবি/এমএ

Print Friendly, PDF & Email