ব্যারিস্টার জুম্মনের সনদ বৈধ ঘোষণা করে দেয়া রায় স্থগিত

প্রকাশিতঃ 2:14 pm | November 11, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে বৈধতা এবং দুই আইনজীবীকে জরিমানার রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।

বুধবার(১১ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১১টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার অনিক আর হক। জুম্মনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।

গত ৮ নভেম্বর আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ এক বিচারপতির ছেলে ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের গেজেট প্রকাশ বৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিটকারী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানকে ১০০ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। এ ধরনের রিট করে আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য এ জরিমানা করা হয়েছে।

বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। এই রিট মামলার শুনানির একপর্যায়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমানার রুলও জারি করেন আদালত।

এর পরদিন ৯ নভেম্বর হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন দুই আইনজীবী। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।

দুই আইনজীবীর রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় কয়েকবার অংশ নিয়েও কৃতকার্য হতে পারেননি হাইকোর্টের বিচারপতির ছেলে মো. জুম্মন সিদ্দিকী। অথচ জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে গত বছরের ৩১ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

এরপর ওই বছরের ২১ নভেম্বর ব্যারিস্টার জুম্মনকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসান।

রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৮ ডিসেম্বর গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

কালের আলো/ডিএসকে/এমএম

Print Friendly, PDF & Email