যারা বেঁধে দেওয়া সম্পর্কগুলোকে ভালোবাসতে পেরেছেন তারাই সুখী

প্রকাশিতঃ 2:13 am | August 12, 2018

:: ফারজানা জুই ::

একটা ম্যাচিউরিটি ছেলে বা মেয়েকে আমাদের দেশে বিয়ে দেওয়ার চিন্তা মাথায় আসলে সর্বপ্রথম আসে বরের বয়স যাই হোক মেয়ে কিন্তু অল্পবয়সী হতেই হবে।
দুজনই মানুষ অথচ চাওয়া,পাওয়া বিচার, বিবেচনা একটু আলাদা।

কিন্তু একটা লক্ষণীয় বিষয় হলো, ম্যাচিউরিটি একটা ছেলের বউয়ের বয়স যদি ষোল কিংবা আঠারো হয় আর তার বয়স যদি ত্রিশ কি বত্রিশ হয় সত্যিই কি সেই ছেলেটা চৌদ্দ কিংবা ষোলো বছরের বয়সের গ্যাপটা আদৌ স্ত্রীর সাথে এ্যাডজাস্ট করতে পারে!

কখনও পারে হয়তো,যখন ছেলেটা চায় অল্পবয়েসী সুন্দরী বউ হলে চলবে।কিন্তু একটা শিক্ষিত ছেলে কখনও এই এ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে চাইবেনা।হ্যাঁ যদি সংসারের বাস্তবতায় সব মেনেও নেয়,এটা একান্ত তার ঐ মেয়ের প্রতি দায়িত্ব কিংবা দায়বদ্ধতা থেকে ভালোবাসা নয়।

আসলে সব ছেলে না হলেও কিছু কিছু ছেলে কিংবা মেয়ে আছে তারা চায় যার সাথে সংসার করবে,তার সাথে বয়সের পার্থক্য হোক সেইম অথবা দু চার বছরের ব্যবধান।

কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। আর এই ভিন্ন বিষয়গুলো প্রাধান্য পায় মা বাবার প্রতি শ্রদ্ধাবোধের কারণে “না” বলতে পারাটা।

সত্যি কথা বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে বোধহয় বিয়ে নামক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মা ,বাবার মতামতকে বেশি গুরুত্ব দেন। যার ফলস্বরূপ সংসার জীবনে বরাবরই ঝামেলা লেগে থাকে।

তার মানে এটা নয়, মা বাবা আমাদের খারাপ চান!উনারা বরাবরই আমাদের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেন।
কিন্তু এটাও তো সত্যিই যে মা, বাবার চোখে সেরা জিনিসটি সন্তানের চোখে সেরা নাও হতে পারে।

তাই হয়তো বিশাল ব্যবধানে বয়স থাকা স্বামী,স্ত্রীর কখনই কাউকে বলা হয়না ছোট্ট ছোট্ট স্বপ্নগুলো।
বলা হয়না তাড়াতাড়ি এসো,বলা হয়না আজ বাহিরে খাবো,বলা হয়না ভালোবাসি।

শুধুমাত্র প্রয়োজনের তাগিদে আকাঙ্ক্ষা মিটাতে চেষ্টা করে মাত্র।দায়িত্বের জায়গা থেকে চেষ্টা করে মেনে নিতে।

একটা সময় বার্ধক্যের প্রয়োজনে কিংবা ভবিষ্যতের আশায় নতুন প্রজন্মের পদচারণও হয় সেসব দম্পতির কোলে।

আসলে সত্যিকারের ভালোবাসার সম্পদ হিসেবে নয়,বরং পৃথিবীর বুকে এসে সেই সন্তান ভালোবাসার সম্পত্তি হয়ে ধরা দেয় ওসব মা বাবার কাছে।

আসলে বিষয়টি আমাদের মনের তাই হয়তো কারো কারো মেনে নিতে কষ্ট হয়।কিন্তু কেউ না কেউ তো ভালোবেসে ওসব সম্পর্ক গুলোকে মজবুত করে আঁকড়ে বাঁচেন,হয়তো তারা বলে ভালোবাসি।

যারা এমনভাবে ধরে বেঁধে দেওয়া সম্পর্ক গুলোকে ভালোবাসতে পেরেছেন তারাই সুখী।

আর বাঁধ বাকি সবাই কেবল সংসারে সং সেজে ভালো থাকার অভিনয় করে চষে বেড়াচ্ছে মাত্র।

লেখক: ঢাকা টেক্সাস বার এসোসিয়েশনের টেক্স কনসালটেন্ট

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)