এসি নয়, মিথেন গ্যাস থেকে মসজিদে বিস্ফোরণ : তদন্ত কমিটি
প্রকাশিতঃ 9:59 pm | September 06, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
নারায়ণগঞ্জের তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ নয়, মিথেন গ্যাস থেকে আগুন ধরে বা স্পার্ক করে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড ডিফেন্স অফিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন এসি বিস্ফোরণ ঘটলে প্রতিটি এসি ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত। এসিটি যেখানে সাঁটানো হয়েছে সেই দেয়ালে পোড়া দাগ থাকতো। কিন্তু মসজিদের দেয়ালে সেটি দেখা যায়নি। আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং এসি খুলে যেটি দেখেছি আগুনের তাপে মসজিদের ৬টি এসি গলে গিয়েছে। যদি এসি থেকে বিস্ফোরণ হয়ে থাকত তবে সেগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে বা টুকরো টুকরো হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তো।
‘তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আমরা কাজ শুরু করেছি সবে মাত্র ২ দিন পার হয়েছে। আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলবো। মসজিদ কমিটিসহ ঘটনার সময় উপস্থিত মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলবো।’
লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে মসজিদের ভেতর গ্যাস উদগীরণের বেশ কিছু আলামত চোখে পড়েছে। মসজিদের গেট সংলগ্ন পানিতে গ্যাসের উদগীরণ দেখা গিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের গ্যাস ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে আমরা মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব পেয়েছি। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মিথেন গ্যাস থেকে আগুন ধরে বা বৈদ্যুতিক স্পার্ক হয়ে আগুন ধরে বা বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে কিছুই এখনও চূড়ান্ত নয়।
তবে ফায়ার সার্ভিসের অপর একটি সূত্র জানায়, বিস্ফোরণের পর গ্যাস ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে মসজিদের ভেতরে কী পরিমাণ গ্যাস আছে সেটি পরিমাপ করে দেখা গেছে মসজিদের ভেতরে ১৯ শতাংশ মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যেখানে মাত্র ৪ শতাংশ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি থাকলে আগুন ধরে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। সেই জায়গায় মসজিদের ভেতরে ১৯ শতাংশ মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
কালের আলো/এসআর/এমকেএস