বক্তব্য ‘খণ্ডিত আকারে’ প্রচার করায় বিভ্রান্তি: নাহিদ
প্রকাশিতঃ 7:31 pm | December 27, 2017
ঢাকা: সম্প্রতি ‘সহনীয় মাত্রায়’ ঘুষ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, অতীত নিয়ে উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি ওই বক্তব্য দিয়েছেন। আর তার খণ্ডিত বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বলেই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
ব্যাপক সমালোচনার মুখে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বুধবার তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “অতীত উদাহরণ তুলে ধরে তার দেয়া একটি বক্তব্য কতিপয় গণমাধ্যমে খণ্ডিতভাবে প্রকাশ হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। আর এই বিভ্রান্তির ওপর ভিত্তি করে কতিপয় বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতামত জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সজাগ থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বুধবার সচিবলায়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেয়ার সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর ও সংস্থার মধ্যে ভাবমূর্তির দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে ছিল পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। তখন চরম দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং দুর্বলতা ছিল দৃশ্যমান। কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিলেন। সেই সময় ডিআইএ কর্মকর্তারা স্কুল-কলেজে পরিদর্শনে গিয়ে অসহায় শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার ঘুষ গ্রহণ করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “ওই সময় শিক্ষক-কর্মচারীরা মনে করতে বাধ্য হতেন তাদের দেয়া ঘুষের অর্থ শুধু পরিদর্শনকারীই নন, তা আমলারাও যেমন পান, তেমনই মন্ত্রী হিসেবে আমিও পাই। ওই সময়ে ঘুষ-দুর্নীতি থেকে কর্মকর্তাদের বিরত রাখার পরিবেশ ছিল না। অনেক শিক্ষকই এসে আমার কাছে কান্নাকাটি করে বলতেন-আমি নিম্ন বেতনের চাকরি করি, এতো টাকা কোথা থেকে দেবো? এক মাসের বেতনের টাকা দিলে পরিবার-পরিজন চলতে পারবো না।”
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, “তখন অনেকেই মন্তব্য করতেন-ঘুষের মাত্রা সহনীয় হলে বাঁচতেন তারা। আর গত ২৪ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে এই উদাহরণ তুলে ধরতে গিয়েই বলেছিলাম- ঘুষের সহনীয় মাত্রা এবং অফিসাররা চোর, মন্ত্রী চোর।”
বিশিষ্টজনদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “সবিনয়ে বলতে চাই, সুদীর্ঘকাল ধরে আপনারা আমার সততার সংগ্রাম, নীতি, আদর্শ, দায়িত্ববোধ সম্পর্কে অবগত আছেন। গণমাধ্যমের খণ্ডিত ভিত্তিহীন সংবাদের ওপর ভিত্তি করে কোনো মন্তব্য করার আগে সরাসরি আমাকে প্রশ্ন করলে অনেক বেশি খুশি হতাম।”