সমাবেশের অনুমতি পুলিশ কমিশনারের বিষয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 2:18 pm | March 27, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার দায়িত্ব ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, তারা বলেছেন ২৯ তারিখের সমাবেশের পারমিশন দেওয়া হচ্ছে না। আমি বলেছি, কী কারণে দেওয়া হচ্ছে না- নিশ্চয়ই কোনো কারণ সেখানে থাকতে পারে। তার পরদিন কিংবা যে কোনো দিন আপনাকে দেবে যেদিন কোনো ধরনের অসুবিধা না থাকে। দেবে না এমন নয়, কারণ আপনারা তো এর আগেও করেছেন।

ডিএমপি কমিশনারের কাছে নিশ্চয়ই কোনো গোয়েন্দা তথ্য ছিল- সে জন্য তিনি তাদের বারণ করেছেন। সভা যাতে নিরাপদে করতে পারেন সে জন্য আমাদের কমিশনারেরও কিছু দায়িত্বে রয়েছে। সে জন্য হয়ত কমিশনার অন্য দিন বা অন্য কোনো স্থানে সমাবেশ করতে বলেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পুলিশ কমিশনার যদি মনে করেন ২৯ তারিখে তাদের সভাটি করার জন্য কোনো অসুবিধা নেই। তবে পুলিশ কমিশনার সে ব্যবস্থা নেবেন।’

তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি নেতা) আমাদের বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য বলেছেন, আমি নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানতে চাইব অসুবিধা কোথায় কিংবা কোন ধরনের অসুবিধা আছে কি না?’

অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি আপনার নাকি পুলিশ কমিশনারের ওপর নির্ভর করছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ কমিশনারের ওপর নির্ভর করছে। নিরাপত্তা দেওয়ার মূল দায়িত্ব আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর।’

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পানি সম্পদমন্ত্রী হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি আবারও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে বিএনপি। ওই সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এরপর তৃতীয় দফায় ১৯ মার্চ সমাবেশের অনুমতি চায় দলটি। ওইদিন সন্ধ্যায় নিরাপত্তার কারণে দেখিয়ে আবেদন বাতিল করা হয়।

 

কালের আলো/আরএম/

Print Friendly, PDF & Email