চাঞ্চল্যকর শাওন হত্যাকান্ড: ৪ জনের বিরুদ্ধে বাবা’র মামলা
প্রকাশিতঃ 7:29 pm | March 21, 2018
বিশেষ প্রতিবেদক, কালের আলো:
ময়মনসিংহে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক আল রাফি শাওন হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তিন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নিহত শাওনের বাবা জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস।
মামলার আসামিরা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত, এসএম আরিফুল হক ওরফে পিচ্চি আরিফ, আমিনুল ইসলাম হিমেল ও সঞ্জয়ের ছোট ভাই দীপ্ত দত্ত।
বুধবার (২১ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুল হকের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
পরে বিকেলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুল হক পুলিশের দায়ের করা আগের মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলামকে এ মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।
এ মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও বাদী নিহত শাওনের বাবা এমএ কুদ্দুস এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এমএ কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আমার ছেলে শাওনের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। যারা ষড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে তাদের বিচার নিশ্চিতের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
এসময় সঙ্গে ছিলেন- ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান খোকন প্রমুখ।
এরআগে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত মধ্যরাতে রহস্যজনকভাবে গুলিবিদ্ধ হন জেলা ছাত্রলীগ নেতা আশফাক আল রাফি শাওন। প্রথমে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে তাকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা ১১দিন মৃত্যু’র সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে যান শাওন।
পরবর্তীতে শাওনের বাবা মামলা দায়ের না করায় বিনা ময়নাতদন্তে পরদিন ৯ মার্চ শাওনের নিজ গ্রাম ফুলবাড়িয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিকভাবে অনেক জল ঘোলা হবার পর গত ১৪ মার্চ রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গত ১৫ মার্চ দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত, এসএম আরিফুল হক ওরফে পিচ্চি আরিফ ও আমিনুল ইসলাম হিমেল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এসময় কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই পলাশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
রোববার (১৮ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুল হক তাদের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে আদালতের নির্দেশে সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য শাওনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
কালের আলো/ওএইচ