ঈদ যাত্রা আগের থেকে কিছুটা স্বস্তিদায়ক : কাদের
প্রকাশিতঃ 4:18 pm | August 10, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ঈদ যাত্রা অন্য সময়ের তুলনায় এবার কিছুটা স্বস্তিদায়ক বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত যানজটের কোনো তথ্য নেই। যেটা হচ্ছে সেটা ধীরগতি। এ কারণে সময়মতো গাড়ি পৌঁছাতে পারছে না। যাত্রীরা টার্মিনালে বসে কষ্ট পাচ্ছেন।’
শনিবার(১০ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পরিদর্শনকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছুটা দুর্ভোগ যে নেই সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ঢালাও মন্তব্য না করে স্পেসিফিক কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেটা আমাদের বুঝতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যে সমস্যা ছিল, একদিকে ফোর লেনের রাস্তা থেকে উঠে এসে টু লেনের ব্রিজে উঠতে হতো; আবার আরেক দিকে ৮ লেনের রাস্তা থেকে এসে টু লেনের ব্রিজে উঠতে হতো।
যার কারণে যানজট লেগেই থাকত। সে সমস্যাটা এখন আর নেই। উত্তর জনপদের দিকে যে সমস্যাটা সেটা রাস্তা নয়, সমস্যাটা হচ্ছে ঢাকা এলেঙ্গা মহাসড়ক থেকে চার লেনের রাস্তার গাড়িগুলো যখন টু লেনে ওঠে। তখনই সমস্যাটা সৃষ্টি হয়।
এ সময় রাস্তায় কোনো সমস্যা নেই দাবি করেন কাদের। তিনি বলেন, বেহাল সড়কের কারণে কোথাও যানজট হয়েছে, এমন তথ্য আমার কাছে নাই। পরশু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া গিয়েছে, তার কারণে যে গাড়িগুলো আটকে ছিল; সে প্রেসারটাও ওই রাস্তার উপর দিয়ে গিয়েছে। কোরবানি ঈদ না চাইলেও পশুবাহী গাড়ির জন্য রাস্তা ধীর গতির হয়ে যায়। ধীরগতির জন্য গাড়িগুলো আসতে দেরি হচ্ছে। এজন্য টার্মিনালে অনেক যাত্রী বসে কষ্ট পাচ্ছে।
আজ রাস্তায় কোনো দুর্ভোগ নেই দাবি করে মন্ত্রী বলেন, আজকে রাস্তার কোথাও দুর্ভোগ আছে এমন কোনো ইনফরমেশন আমি কোথাও থেকে পাইনি। টাঙ্গাইলের রাস্তায় ধীরগতি আছে, কিন্তু যানজটের কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ঢাকা-চট্টগ্রাম ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কোন যানজট নেই। এলেঙ্গা টাঙ্গাইল কিছুটা ধীর গতি আছে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তবে, সড়কের বেহাল দশার জন্য কোথাও যানজট হয়নি।
ঈদের আনন্দে মানুষ ডেঙ্গু ভুলে গেছে দাবি করে কাদের বলেন, ঈদের আনন্দে মানুষ ডেঙ্গুর কথা ভুলে গেছে। এবার আমি টার্মিনালগুলোতে মানুষের চাপ বেশি দেখছি। বাঙালি জাতি ভয় করে না ভয়কে জয় করতে জানে।
কালের আলো/এএন/বিআর