স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর

প্রকাশিতঃ 6:19 pm | March 19, 2018

কালের আলো রিপোর্ট:

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ জনের দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে এ জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।

শ্রদ্ধা নিবেদন করেন- রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, সাবেক নৌবাহিনী প্রধান ও বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ নিহতদের শ্রদ্ধা জানান। পরে নিহতদের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে বিকালে লাশগুলো অ্যাম্বুলেন্সযোগে আর্মি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। বিকাল ৪টা ০৫ মিনিটে নেপাল থেকে ২৩ জনের লাশবাহী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ প্লেন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। এরপর লাশবাহী কফিনগুলো নাম ধরে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে প্রবেশ করানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল।

এর আগে সকালে নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিহতদের প্রথম নামাজে জানাজা শেষে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে মরদেহগুলো ১০টার দিকে আনা হয়। এরপর মরদেহ ঢাকায় নিতে দুপুর ১২টার দিকে নামে বিমানবাহিনীর কার্গো এয়ারক্রাফট দু’টি। নামার আগে এয়ারক্রাফট দু’টিকে হেভি ট্রাফিকের কারণে ত্রিভুনের আকাশে ঘণ্টাখানেক চক্কর দিতে হয়। গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১। এতে নিহত হন ৪৯ জন। তাদের মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি। এদের মধ্যে শনাক্ত করে ঢাকায় আনা হয়েছে এই ২৩ জনের লাশ।

এরা হলেন- উম্মে সালমা, আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার ও শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন ও এফ এইচ প্রিয়ক, -বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামাররা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান এবং পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান। শনাক্ত না হওয়ায় আনা হয়নি পিয়াস রায়, নজরুল ইসলাম ও আলিফুজ্জামানের লাশ।

 

কালের আলো/এমএ

Print Friendly, PDF & Email