কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ২৩ বাংলাদেশি

প্রকাশিতঃ 5:25 pm | March 19, 2018

কালের আলো রিপোর্ট:

নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ কাঠমান্ডু থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। সোমবার বিকেল ৪টা ৫মিনিটে উড়োজহাজটি বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

বিমানবন্দর থেকে মরদেহগুলো নেয়া হয়েছে আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানে নিহতদের স্বজনরা মৃতদেহগুলো গ্রহণ করবেন। সেখানে চলছে জানাজার প্রস্তুতি। সেখানেই আত্মীয়, বন্ধু, স্বজনদের সঙ্গে শেষবার মিলিত হবেন না ফেরার দেশের এই ২৩ যাত্রী।

নিহতদের মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিমানবন্দরে। বিমান পরিবহন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালও আছেন সেখানে।

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের স্বজনদের মধ্যে যারা কাঠমান্ডুতে গিয়েছিলেন, তাদেরও ইউএস বাংলার একটি বিশেষ ফ্লাইটে সোমবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

এর আগে, ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১ গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে রওনা হয়েছিল চার ক্রুসহ ৭১জন আরোহী নিয়ে, সেদিনও ছিল সোমবার। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হলে ২৬ জন বাংলাদেশিসহ ৪৯ আরোহীর মৃত্যু হয়।

নিহতদের মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করার পর নেপালি কর্তৃপক্ষ কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। সোমবার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ইউএস-বাংলার উপস্থিত কর্মকর্তারা তাদের জানাজায় অংশ নেন।

জানাজা শেষে ২৩টি কফিন পাঠানো হয় সেই ত্রিভুবন বিমানবন্দরে। সেখান থেকেই ঠিক এক সোমবার পর দেশের পথে তাদের ফিরতি যাত্রা শুরু হয় বেলা আড়াইটায়, বিমানবাহিনীর কার্গো ফ্লাইটে চড়ে।

এই ২৩ জনের মধ্যে ইউএস-বাংলার পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশীদ এবং কেবিন ক্রু খাজা হোসেন মো. শফি ও শারমিন আক্তার নাবিলা রয়েছেন।

যাত্রীদের মধ্যে আছেন- ফয়সাল আহমেদ, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আখতারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান, হাসান ইমাম, আঁখি মনি, মিনহাজ বিন নাসির, ফারুক হোসেন প্রিয়ক, তার মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী তামারা, মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভিন শশী রেজা, বেগম উম্মে সালমা, মো. নুরুজ্জামান, রফিক জামান, তার স্ত্রী সানজিদা হক বিপাশা, তাদের ছেলে অনিরুদ্ধ জামান।

ওই দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে আলিফুজ্জামান, পিয়াস রায় ও নজরুল ইসলামের মরদেহ রোববার পর্যন্ত শনাক্ত করা বাকি ছিল।

 

কালের আলো/এমএ

Print Friendly, PDF & Email