১২ সিটি করপোরেশনে পশুর হাট ৯৬টি, জবাইয়ের স্থান ২৯৪১টি
প্রকাশিতঃ 6:54 pm | August 06, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
সারাদেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে ৯৬টি পশুর হাট ও পশু জবাই করার জন্য প্রায় ৩ হাজার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে ‘ঈদুল আজহার সময় নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ’ বিষয়ে সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশে কোরবানির ঈদে যত্রতত্র পশু জবাই হওয়ায় বর্জ্য ছড়িয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়; পাশাপাশি বর্ষায় এই বর্জ্য নগরগুলোর পানি নামার পথ আটকে দিয়ে বিড়ম্বনাও তৈরি করে।
এই পরিস্থিতি এড়াতে গত কয়েক বছর ধরে ঢাকায় পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও তাতে সাড়া মিলছে কম।
এর মধ্যেই স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের প্রতিটিতে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ২ হাজার ৯৪১টি স্থান নির্ধারণ করে দেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫২০টি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৭৩টি, রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ২১০টি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ৩১৪টি, খুলনা সিটি করপোরেশনে ১৪০টি, বরিশাল সিটি করপোরেশনে ১৪২টি, সিলেট সিটি করপোরেশনে ৩৪টি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ২৫৮টি, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ১৯০টি, রংপুর সিটি করপোরেশনে ১১৭টি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৪৮৭টি ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে ২৫৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
১২টি সিটি করপোরেশনে মোট পশুর হাটের সংখ্যা ৯৬টি। সড়কে কোনো হাট না বসাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
রাস্তার উপর কোনো পশু জবাই না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পশু জবাইয়ের বর্জ্য দ্রুত অপসারণের উপরও জোর দেওয়া হয় সভায়।
মন্ত্রণালয় জানায়, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থানগুলোতে প্যান্ডেল তৈরি করে দেওয়া হবে, সেখানে পশু জবাইয়ের জন্য ইমাম এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাংস প্রস্তুতকারী থাকবেন। আর বর্জ্য অপসারণের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যান থাকবে, থাকবে স্যাভলন ও ফিনাইল মিশ্রিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা।
বর্জ্য অপসারণের কন্ট্রোল রুমের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলা হয়, প্যান্ডেলগুলোতে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও থাকবে।
কালের আলো/এআর/এমএম