কুমিল্লায় ইউপি সদস্যদের আলাদা অফিস, রয়েছে নাগরিকের হালনাগাদ তথ্য

প্রকাশিতঃ 12:08 pm | August 05, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম। তাকে বলা হয় সেখানকার ‘উন্নয়নের রূপকার।’ ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েই তিনি নিজ এলাকার প্রতিটি ইউপি সদস্যের কার্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।

আরও পড়ুন: বদলে যাওয়া বাংলাদেশের গল্প বললেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

তিনি বলেন, ‘আমি গতবার থেকে আমার নির্বাচনী এলাকায় সব মেম্বারের একটি অফিস থাকার কথা বলি। সেই অফিসে রেজিষ্ট্রার রয়েছে। সেখানে লেখা আছে জনসংখ্যা কত, কয়জন নারী-পুরুষসহ একজন ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দার সব রকমের তথ্য।

রোববার (০৪ আগষ্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘শতবর্ষের পথে বঙ্গবন্ধু’, চিত্রে, গানে, কবিতায় স্মরণ অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

আরও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিএনপি’র ওবায়দুর রহমান কী বলেছিলেন, জানালেন এলজিআরডি মন্ত্রী

কোন জায়গায় স্বাক্ষর করবে জানতে হবে
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকারের চেয়ারম্যান সাহেব যদি অফিসে না যায় এবং ১১২ টি সেবা দেওয়ার জন্য যে ব্যবস্থা করা হয়েছে সেগুলো যদি না বুঝে তাহলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী হবে কীভাবে? আপনি বললেন ক্ষমতা তাদেরকে দিয়ে দেন। যাদেরকে ক্ষমতা দিলাম, সে কোন জায়গায় স্বাক্ষর করবে তা জানে না। তাহলে তো হবে না। এটা একদিনে করা যাবে না।

ভারতের ইউপি চেয়ারম্যান পিএইচডি হোল্ডার
মন্ত্রী বলেন, আমি ভারতের একটি ইউনিয়ন পরিষদ ভিজিট করতে গিয়েছিলাম। সেই ইউপির চেয়ারম্যান রুরাল ডেভেলপমেন্টের ওপর পিএইডি হোল্ডার। তাঁর আগেই মাথায় ছিল তিনি এখানে চেয়ারম্যান হবেন। তিনি রিসার্চ করেছেন, থিসিস করেছেন।

আরও পড়ুনঃ কলকাতা ডেঙ্গু মোকাবেলায় কীভাবে সফলতা পেয়েছে, জানালেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

আমাদের স্থানীয় সরকারের চেয়ারম্যান-মেম্বার যারা হতে চায় অথবা কত এডুকেটেড লোককে উৎসাহিত করবেন? এই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আমি একদিন ভুটানের ফাইন্সে মিনিস্টারের সাথে বসে মিটিং করছি। আমি তাকে কার্ড দিলাম। সে আমাকে কার্ড দিতে না পেরে বললেন, আমরা ভিজিটিং কার্ডে ব্যস্ত নই। অল্প লোক বাস করেন, বেশিরভাগের নাম ও ফোন নাম্বার জানি।

‘আমাদের তো ১৬ কোটি আছে। আমি ভাবলাম তাদের দেড় থেকে দুই কোটি হবে। কিন্তু তাদের ৭ লাখ মানুষ। ৭ লাখ লোকের জন্য রাজা, মন্ত্রী পরিষদ সবই আছে। আমাদের এখানে ২৫ থেকে ৩০ হাজারের মতো বাসিন্দা একেকটি ইউনিয়নে।

ছবি-আনিসুর রহমান ফারুক, কালের আলো।

যান্ত্রিকীকরণ ও সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা
মন্ত্রী বলেন, আমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওযার পর কৃষি উৎপাদনকে যান্ত্রিকীকরণ করার জন্য এবং একটি সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করার জন্য আমার ব্যক্তিগত একটি তথ্য দিয়ে কাজ শুরু করি। মাঠে যন্ত্র দিয়ে চাষ হবে। যেখানে এক একর চাষ করতে ১০০ জন লাগে সেখানে ১০ জন লোক দিয়ে সমস্ত কাজ করাতে পারবেন।

তাহলে কৃষি কাজ করার জন্য লোকের সঙ্কট হবে না। আমাদের উৎপাদন খরচ কমে যাবে। গ্রামীণ অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কিছু প্রকল্প নিতে হবে যাতে করে সেখানে ট্রেড, কমার্স এবং ইন্ডাষ্ট্রি গড়ে তোলা যায়। যে ছেলেটি সেখানে শিক্ষিত হবে, কর্মসংস্থান আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা করবো। গ্রামের মধ্যে এখন গাড়ি নাই, এক সময় অনেক গাড়ি হয়ে যাবে। এ সমস্তগুলোকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তাঁর জন্য স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপুর্ণ।

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার অর্থ হলো স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনা এমনভাবে হবে যাতে করে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের সব সমস্যার সমাধান করবে এবং তাঁরা সেখান থেকে আয় করবে এবং আয় করে উন্নয়নের বাজেট তাঁরা নিজেরাই দিবে।

কালের আলো/এপিএস/এমএএএমকে

Print Friendly, PDF & Email