আগস্ট আসলে নেত্রীকে নিয়ে বিপদের আশঙ্কা থাকে : কাদের

প্রকাশিতঃ 5:22 pm | August 01, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিপদের আশঙ্কা থাকে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, আগস্ট মাস আসলে নেত্রীকে নিয়ে এই মাসে বিপদের আশঙ্কা থাকে, অশুভ তৎপরতা জেগে ওঠে। তাই আমাদের সর্তক থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত ‘মাসব্যাপী সংবাদ চিত্র প্রদর্শনী উদ্ভোধনী’ পূর্ব আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগস্ট মাস এলেই জঙ্গিবাদ, নাশকতা, সাম্প্রদায়িকতা- যা যা নিষ্ক্রিয় আছে বলে মনে করি, সে অপশক্তিগুলো আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। আগস্ট মাস এলেই তারা হঠাৎ অপতৎপরতা চালায়। কারণ, তারা জানে, এক শেখ হাসিনাকে শেষ করে দিতে পারলে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে।

‘আমাদের এক দিকে হারানোর বেদনা, আবার নতুন করে হারানোর আশঙ্কা। পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা শেখ হাসিনা। আপনারা শোকের মাসের কর্মসূচি পালন করবেন, পাশাপাশি সতর্ক থাকবেন। আমাদের বিপদের ঝুঁকি আছে।’

তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বিভিন্নভাবে ধিকৃত করতে চান, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উদার রাজনীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার রাজনীতি শুধু রাজনীতি করার জন্য নয়, নির্বাচনী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নয়। শেখ হাসিনার রাজনীতি পরবর্তী প্রজন্মের ভিশন নিয়ে কাজ করা। তিনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কর্মসূচিতে ১০০ বছর পেরিয়ে গেছেন। এ কারণেই যুবলীগ শেখ হাসিনাকে যে রাষ্ট্রনায়ক উপাধি দিয়েছে, তা যথার্থ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ যদি শেক্সপিয়ার বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনি নিশ্চয়ই লিখতেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড বিশ্বের নৃশংসতম ও জঘন্যতম। কারা বঙ্গবন্ধু হত্যায় পেছন থেকে মদদ দিয়েছিল, ইনডেমিনিটি দিয়ে খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল, বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল, ইডেমিনিটি আইনে পরিণত করেছিল- তা জাতি জানে। জিয়াউর রহমান এর সঙ্গে জড়িত ছিল, এগুলো ইতিহাস জানে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জানে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা কারা করেছিল। তারপরও, পুত্রহারা মাকে সান্ত্বনা দিতে গেলে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এ নিষ্ঠুর রাজনীতিও তারা করে। ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্টের মতো ঘটনার পরেও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা একটা কর্মসম্পর্ক রাখতে চাই। কিন্তু, যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে কেক কেটে ভুয়া জন্মদিন উদযাপন করে, তাদের সঙ্গে আমরা কর্মসম্পর্ক রাখি কীভাবে? তারা যদি এ কাজ বন্ধ না করে, তবে তাদের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক গড়ে তোলা কঠিন।

অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ।

কালের আলো/এআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email