ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি : তাজুল ইসলাম

প্রকাশিতঃ 1:08 pm | July 25, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী (এলজিইডি) মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, আমরা ডেঙ্গুকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমাদের এ চ্যালেঞ্জকে স্বাগত জানিয়ে সাংবাদিক, খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নানা পেশার মানুষ একত্রিত হয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী মশক নিধন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে এডিস মশার বংশ বিস্তার ধ্বংস করতে পারবো।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে জাতীয় মসক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে না থাকার অর্থ হচ্ছে অমারা হাল ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি। সকল সংস্থা একযোগে কাজ করছে।

মসক নিধন ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পরীক্ষা করে দেখেছি, সেগুলোর কার্যকারিতা এখনো আছে।

আমরা হাল ছাড়িনি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে থাকার অর্থ হচ্ছে, সরকার মনে করে আর কিছু করার নেই। কিন্তু আমরা কাজ করছি।

বিভিন্ন দেশের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে গত বছর ২৮ জন মারা যাওয়ার রেকর্ড আছে। থাইল্যান্ডে এরই মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি মারা যাওয়ার তথ্য পেয়েছি, ফিলিপাইনে সাড়ে ৪০০ মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী সিঙ্গাপুরে প্রায় ৪০-৫০ জন মারা গেছে। তবে এতে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। আমাদের দেশে ডেঙ্গুর জন্য যে মৃত্যু হচ্ছে এর জন্য আমরা আন্তারিকভাবে দু:খিত।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু যে পরিমাণ বৃদ্ধি পাক না কেন তার চেয়ে অধিক গতিতে সিটি করপোরেশনসহ সকল কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব পালন করছে। চেষ্টা করছি একেবারে নির্মূল করার জন্য।’

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা দরকার। আপনার বাড়িতে, আমার বাড়িতে ফুলের টব, কমোড, বেসিন যেকোনো পাত্রের মধ্যে এডিস মশা ডিম পাড়ে। এর তিন দিন পর মশার আকারে রূপান্তরিত হয়। অপরিষ্কার ময়লা আবর্জনাতে এডিস মশা হয় না।’

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিজেরা যত যাই করি না কেন, নিজেদের আগে সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান হাতিয়ারই হচ্ছে সচেতনতা। আমরা যদি আমাদের আশপাশের জায়গা এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র করে রাখি, তাহলে কোনো পদক্ষেপই কাজে আসবে না। তাই সবাইকে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এডিস মশার প্রজনন স্থল যেন তৈরি হতে না পারে, সে লক্ষ্যে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এখন অভিযান চালাচ্ছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি এ সমস্যা সমাধানে। নগরবাসী একটু সচেতন হলেই এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

অনুষ্ঠানের পরে ডেঙ্গু সচেতনতা ও চিকুনগুনিয়া রোধে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এক র‌্যালির আয়োজন করা হয়। অ্যাভিনিউ ঘুরে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে র‌্যালিটি শেষ হয়।

র‌্যালিতে অন্যদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ইলিয়াস কাঞ্চন, মৌসুমী, সৈয়দ আবুল মকসুদসহ মন্ত্রণালয় এবং সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাদেশে মশক নিধন এবং মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধকল্পে ২৫ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী ‘মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ’ পালন করা হবে।

কালের আলো/এআর/এমএম