৪ দফা দাবিতে বাকৃবিতে দ্বিতীয় দিনের মত কর্ম বিরতি পালন

প্রকাশিতঃ 6:14 pm | March 13, 2018

বাকৃবি সংবাদদাতা, কালের আলো:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) লেকচারার ও সহকারী প্রফেসররা চার দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রমে কর্ম বিরতি পালন করছেন।

মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সিনিয়র শিক্ষকরা তাদের দাবির সাথে একত্মতা ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।

বিভিন্ন অনুষদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে দাবি আদায়ের সিদ্ধান্ত মোটেই যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার-অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর পরিষদের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান শিশির জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ও সহকারী প্রফেসররা তাদের বিভিন্ন দাবি প্রশাসনের কাছে জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দাবিগুলো মেনে না নেওয়ায় তারা এ ধর্মঘট পালন করছে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

এদিকে লেকচারার ও সহকারী প্রফেসরদের চলমান আন্দোলন ও দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসররা। সকাল ১১ টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সাথে বেশ কয়েকজন সিনিয়র প্রফেসররা কথা বলেন। এ সময় তারা লেকচারার ও সহকারী প্রফেসরদের যৌক্তিক দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

শিক্ষকদের চার দফা দাবিগুলো হলো: লেকচারার ও সহকারী প্রফেসরদের বেতন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, সহকারী প্রফেসর ও সহকারী রেজিস্ট্রার পদ সমমানে না রাখা, গবেষণা ক্ষেত্রে ভাতা প্রদান এবং কনিষ্ঠ শিক্ষকদের সতন্ত্র আবাসনের ব্যবস্থা করা।

গত রবিবার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের গ্যালারীতে এক জরুরি সভা করেন পরিষদের নেতারা। সেখানে আন্দোলনরত শিক্ষকদের তিনটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাদের সিদ্ধান্ত গুলো হলো- দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতি, শিক্ষকতার বাইরে অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিতব্য কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করা।
এদিকে শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ছিলো। এতে বিড়ম্বনার মুখে পড়ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস মাহফুজুল বারির বক্তব্য জানতে ফোন করলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর বলেন, শিক্ষকদের অনেক দাবিই পূরণ করা হয়েছে এবং কিছু কিছু দাবি বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক দিক বিবেচনা করে পূরণ করতে হয়। তবে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে দাবি আদায়ের সিদ্ধান্ত মোটেই যৌক্তিক নয়।

 

কালের আলো/এআই/ওএইচ