কারাবন্দিরা সকালের নাস্তায় খাবে খিচুড়ি-রুটি-সবজি-হালুয়া
প্রকাশিতঃ 3:07 pm | June 16, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
অবশেষে পরিবর্তন হলো দেশের কারাগারগুলোতে সকালের নাস্তায় প্রায় দুইশ বছরের পুরনো মেন্যু। এতদিন রুটি আর গুড় দিয়ে বন্দিদের সকালের নাস্তা করতে হলেও এবার সেদিকে নজর দিয়েছে সরকার।
বন্দিদেরকেও সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে তাদের খাবারের মেন্যুতে। এখন থেকে বন্দিরা সকালের খাবার হিসেবে খাবেন ভুনা বা সবজি খিচুড়ি কিংবা রুটির সঙ্গে সবজি ও হালুয়া।
রোববার (১৬ জুন) সকালে নাস্তার নতুন এই মেন্যুর উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
কারা সূত্র বলছে, দেশের কারাগারগুলোতে কয়েদিসহ বন্দিদের সকালের নাস্তায় রুটি ও গুড় দেওয়া হতো। ইংরেজ শাসনামল থেকে নাস্তায় এই একই মেন্যু পেয়ে আসছিলেন বন্দিরা। শেষ পর্যন্ত সেই মেন্যুতে পরিবর্তন এলো। এখন থেকে তাদের নাস্তার মেন্যুতে থাকবে খিচুড়ি, রুটি, সবজি, হালুয়া।
ডিআইজি (ঢাকা বিভাগ) টিপু সুলতান জানান, এখন থেকে সপ্তাহে একদিন বন্দিদের দেওয়া হবে ভুনা খিচুড়ি, একদিন সবজি খিচুড়ি। বাকি পাঁচদিন থাকবে রুটি। এর মধ্যে একদিন রুটির সঙ্গে থাকবে হালুয়া, বাকি পাঁচ দিন সবজি।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আজ থেকে সারাদেশের সব কারাগারে এই খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। খাবারের মান যেমন বেড়েছে, তেমনি পরিমাণও বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কারাবন্দিদের সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে নাস্তার মেন্যুতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগে কারাগারে বন্দিরা খেতেই পারত না। এখন তাদের জন্য মান অনুযায়ী পর্যাপ্ত খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। প্রায় শত বছরের রীতি ভেঙে এই কাজ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কারাবন্দি যারা আছে, তাদের জন্য ৩৮ ট্রেডের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা যেন জেল থেকে মুক্তির পর অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলা হয়েছে।
বন্দিরা যেন প্রিয়জনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে পারেন সেজন্য প্রিজন লিংক ‘স্বজন’ সার্ভিস চালু করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে কারাবন্দিরা তাদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প হিসেবে টাঙ্গাইলে এ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ সার্ভিস চালু করা হবে।
এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা, উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) টিপু সুলতান, ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল রামানন্দ সরকার, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহে এলিদ মাইনুল আমীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এনএ/এমএইচএ